উত্তরবঙ্গ জুড়ে শনিবার সাড়ম্বরে পালিত স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষ। এ দিন সকালে কোচবিহার রামকৃষ্ণ মঠের উদ্যোগে স্বামীজির প্রতিকৃতি নিয়ে শোভাযাত্রা শহর পরিক্রমা করে। মাথাভাঙা মালিবাগান উদ্যানে বন দফতরের উদ্যোগে নির্মিত স্বামীজির আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। পুষ্প প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। দিনহাটার বাসন্তীরহাটে সারাভারত হিতসাধনী মঞ্চের তরফে অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানে একটি মাটির রাস্তা স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করেন শতাধিক সদস্য।
পাশাপাশি তুফানগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপিত হয়। শিলিগুড়িতেও নানা অনুষ্ঠান হয়েছে। এনবিএসটিসি-র তরফে তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসের অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব ছিলেন। দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের তরফে হিলকার্ট রোডের দফতরে অনুষ্ঠানে সামিল হন জেলার নেতারা। মালদহে মূল অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রামকৃষ্ণ মিশন। সকালে মিশন রোডে স্বামীজির মূর্তিতে মাল্যদান করেন মালদহ রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পরাশরানন্দ। ছিলেন দুই মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্র। |
স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে শোভাযাত্রা ধূপগুড়িতে। ছবি: রাজকুমার মোদক। |
জেলার বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এ দিন শোভাযাত্রায় যোগ দেয়। মালদহ বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ১৯৯২ সালের মাধ্যমিকের প্রাক্তনীরা রাজাবাগানে ৩২ জন দুঃস্থদের নিয়ে এ দিন একটি স্কুল চালু করেন।
অন্য দিকে, জলপাইগুড়িতে দেশবন্ধুনগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্বামীজির আবক্ষ মূর্তি বসানো হয়। উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী আক্ষয়ানন্দ। অনুষ্ঠান হয় রামকৃষ্ণ মিশনেও। একটি মিছিল শহর পরিক্রমা করে। সারদা শিশুতীর্থের ছাত্রছাত্রীরা ট্যাবলো নিয়ে শহরে শোভাযাত্রা করে। মুহুরিপাড়ায় স্বামীজির মূর্তিতে মাল্যদান করেন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু। এ দিকে, দুঃস্থ এক দশম শ্রেণির ছাত্র টিউশনির টাকা জমিয়ে এলাকার গরিব ছাত্রছাত্রীদের হাতে খাতা ও কলম তুলে দিল। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের সুহরি গ্রামে বাড়ির উঠোনে মঞ্চ করে রামপুর হাইস্কুলের ছাত্র তাপস বর্মন ওই অনুষ্ঠান করে। ছোটবেলায় বাবা মাকে হারিয়ে দিনমজুর দাদু-ঠাকুমার কাছে মানুষ তাপস। তার কথায়, “সমাজের জন্য কিছু করতে আমি দায়বদ্ধ। তাই খাতা কলম দিয়ে পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।” |