ডিওয়াইএফআইয়ের সভামঞ্চ-সম্মেলনে হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল |
ভাঙড় কাণ্ডের ক্ষত এখনও যথেষ্ট অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করছে রাজ্য প্রশাসনের কাছে। এরই মধ্যে ফের একবার বিরোধী কর্মী সমর্থকদের উপর হামলায় অভিযোগের আঙুল উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হলদিয়ার সুতাহাটায় সুবর্ণজয়ন্তি ময়দানে ডিওয়াইএফআইয়ের সভামঞ্চ ভাঙচুর এবং আসানসোলের বারাবনিতে ডিওয়াইএফআইয়ের একটি সম্মেলনে গুলি চালনার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
গতকাল সন্ধ্যায় সুতাহাটায় কর্মীরা যখন সভার মঞ্চ তৈরি করছিলেন তখন এক দল সশস্ত্র দুষ্কৃতী তাদের মারধর করে এবং মঞ্চ ভেঙে দেয়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। সভামঞ্চ ভাঙচুর করা হলেও আজকে নির্দিষ্ট সময় বেলা দুটোতেই এই সমাবেশ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক আভাস রায়চৌধুরী।
অন্য দিকে আসানসোলের বারাবনিতে ডিওয়াইএফআইয়ের একটি সভায় দলীয় পতাকা উত্তোলনের সময় পনের-কুড়ি জনের একটি সশস্ত্র দুষ্কৃতীদল হামলা চালায়। সভা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এই নিয়ে বচসা শুরু হয় দু’ পক্ষের মধ্যে। পরে ঘটনা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছলে দুষ্কৃতীরা ৫ রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ জানিয়েছেন সম্মেলনে উপস্থিত কর্মী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। গুলির আওয়াজে স্থানীয় গ্রামবাসীরা এসে পড়ায় দলটি পালিয়ে যায়। এই দু’টি ঘটনাতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য পুলিশে খবর দেওয়া হলেও তারা ঘটনাস্থলে আসতে অনেক দেরি করেছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এক দিকে যখন শিল্পে বিনিয়োগ টানতে মরিয়া রাজ্য সরকার, তখনই বেঙ্গল লিডসের দু’দিন আগে শিল্পাঞ্চলে এই ঘটনা গুলি আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে আরও একবার শিল্পপতিদের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
|
জলপাইগুড়িতে লক্ষাধিক টাকার গয়না লুঠ, গুলিবিদ্ধ ২ |
আজ ভোরে জলপাইগুড়ির পেচুয়া বোয়ালমারি বাজার এলাকায় একটি সোনার দোকানে প্রায় ২০ হাজার টাকার গয়না লুঠ করে পালাল সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। যদিও সেই সময় দোকানে লক্ষাধিক টাকার সোনা-রুপোর গয়না মজুত ছিল। কিছু স্থানীয় বাসিন্দা এবং পাহারাদাররা সতর্ক থাকায় ডাকাতরা তড়িঘড়ি পালায়। ডাকাতিতে বাধা দিতে গিয়ে দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। |