নিমন্ত্রণপত্রেও নাম ছিল যোগীন্দ্রনারায়ণই |
লালগোলার মহারাজা যোগীন্দ্রনারায়ণ রায় (১৮৫০-১৯৪৬)-এর নাম ‘যোগেন্দ্রনারায়ণ’ কি না, তা নিয়ে অকারণ বিতর্কের অবতারণা হয়েছে। ভুল যে কোনও সময়ে, যে কেউ করলেও, তা ভুলই থাকে। কাজেই অতীতে কিছু ক্ষেত্রে (লাইব্রেরি, ক্লাবগৃহ বা স্মারক পত্রিকায়) অনবধানতায় যাঁরা ভুল লিখেছেন, তাঁদের দায়ে প্রবাদপ্রতিম দানশীল যোগীন্দ্রনারায়ণ রায়ের নামটির যদি বিকৃতিই চলতে থাকে, তা হবে অত্যন্ত অনুতাপের বিষয়। আমরা জানি, আমাদের নাম নিয়ে নানা সময়ে অল্প-বিস্তর ‘কাটা-ছাঁটা’ করলেও জন্ম-মৃত্যু-বিবাহের ক্ষেত্রে সাধারণ ভাবে ঠিক নামটির সদ্ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে যোগীন্দ্রনারায়ণের শুভবিবাহের যে নিমন্ত্রণপত্রটি পাওয়া যায়, তাতে লেখা রয়েছে, “শ্রীশ্রীকৃষ্ণশরণং। ফাল্গুন মাসীয় চতুর্দশ দিবসে কুঞ্জবাসরে মৎপুত্র শ্রীমান্ রাও যোগীন্দ্রনারায়ণ রায় বাবাজীর শুভোদ্বাহোপলক্ষে প্রস্তাবিত মাসীয় ক্রম দিবসাবধি দশম দিন পর্যন্ত নৃত্যগীতাদি এবঞ্চ একাদশাহে বরযাত্রিকগণের বাগডেঙ্গা উদ্দেশ্যে গমন হইবেক মম শ্রীমন্ত পুরালয়ে শুভগমানপূর্বক শ্রবণাবলোকন করতঃ বৈবাহিক কার্য্য সুসম্পন্ন করিয়া শোভা সংবর্দ্ধন করিবেন। পত্রদ্বারা নিমন্ত্রণ করিলাম। ইতি শ্রীরাণী শ্যামাসুন্দরী দেব্যা। ১২৭৪ বঙ্গাব্দ ২৭ মাঘ।” সর্বোপরি শিলাইদহ হতে ১৩১৬ বঙ্গাব্দের ২৬ বৈশাখ রবীন্দ্রনাথও একটি পত্রে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীকে লেখেন, “লালগোলার রাজা যোগীন্দ্রনারায়ণ রায় বাহাদুরের বদান্যতায় আমাদের বিদ্যালয় রক্ষা পাইয়াছে। তাঁহার একখানি ছবি সংগ্রহ করিয়া আমাদের বিদ্যালয়ে যদি পাঠাইয়া দেন তবে বড় উপকৃত হইব।”
রমাপ্রসাদ ভাস্কর, বহরমপুর। |