শুধু ১৩৫ মিটার। অভিযোগ, ছ’বছরেও এই অংশটুকুতে পাইপ বসাতে পারল না হাওড়া উন্নয়ন সংস্থা (এইচআইটি)। ফলে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। নাকাল হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা, নিত্যযাত্রী ও ব্যবসায়ীরা। এই ছবি হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের বাটার মোড় থেকে যাদব ব্যাঙ্ক পর্যন্ত অংশে। যদিও এইচআইটি-র আশ্বাস, শীঘ্রই কাজ শেষ হবে।
হাওড়ার নিকাশি উন্নয়নের জন্য ২০০৭-এ বেলিলিয়াস রোড থেকে বাটা মোড়, নরসিংহ দত্ত রোড হয়ে যাদব ব্যাঙ্কের মোড় পর্যন্ত ১.৯ কিলোমিটার রাস্তায় পাইপ বসানোর কাজ শুরু করে এইচআইটি। প্রকল্পটি জেএনএনইউআরএম-এর অন্তর্গত। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪ কোটি টাকা। ২০১১-এর মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। হাওড়া ময়দান-কদমতলা, কদমতলা-ধর্মতলা রুটের বাস চলত এই রাস্তায়। কাজ শুরুর পরে বাস বন্ধ হয়ে যায়।
এই কাজ এখনও অসম্পূর্ণ কেন? |
এইচআইটি-র এক আধিকারিক জানান, ২০ ফুট চওড়া রাস্তার ২০ ফুট গভীরে পাইপ বসানো হচ্ছে। মাটির নীচে পুরসভার জলের লাইন, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের তার থাকায় কাজে দেরি হচ্ছে। এ ছাড়া মাটিতে বালির ভাগ বেশি থাকায় মাটি শক্ত নয়। ৬ ফুট চওড়া পাইপ মাটি শক্ত না হলে বসে যেতে পারে। তাই বর্ষায় কিছু দিন কাজ বন্ধ ছিল।
এই রাস্তার দু’ধারে রয়েছে ছোট-বড় নানা দোকান। যান চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসা কমে যাচ্ছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। বিশেষ করে লোহার লরি ঢুকতে না পারায় লোহা ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, বড় লরি আসতেই পারে না। ছোট-ছোট গাড়িতে নিয়ে আসতে হয়। ফলে খরচ বেড়ে যায়।” |
কাছেই রয়েছে নরসিংহ দত্ত কলেজ। সমস্যায় পড়েছেন পড়ুয়ারাও। যোগাযোগ বলতে রিকশা। যদিও সম্প্রতি অটো চালু হয়েছে। অভিযোগ, তা পর্যাপ্ত নয়। স্থানীয় গৃহবধূ জবা পাঠক বললেন, “বাস বন্ধ হওয়ায় আমরা খুব সমস্যায় পড়েছি। অটোর দেখা মেলে না। হয়রানি হয়।” অভিযোগ, এই সুযোগে রিকশা যথেচ্ছ ভাড়া চায়। নরসিংহ দত্ত কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী অন্তরা মুখোপাধ্যায়ের কথায়: “কলেজে আসতে প্রচণ্ড সমস্যা হয়। দ্রুত বাস চালু হওয়া দরকার।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অধ্যাপিকা বলেন, “এই সুযোগে রিকশা দ্বিগুণ ভাড়া চাইছে। কলেজ থেকে ময়দান যেতে ৩০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। বাস হলে ৬ টাকা লাগত। এমন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দ্রুত কাজ শেষ করা উচিত।”
এইচআইটি-র চিফ ইঞ্জিনিয়ার চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় দ্রত কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়ে বলেন, “বেলিলিয়াস লেন থেকে বাটার মোড় পর্যন্ত রাস্তার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে ১৩৫ মিটারের কাজ। কয়েক মাসের মধ্যেই ওই অংশের কাজ শেষ হবে।” |