চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক বৃদ্ধার মৃত্যুতে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার নাম বিভারানি রায় (৮৩), শহরের কুতুবপুর নয়াগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর স্বামী ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। মৃতার ছেলে দীপকবাবুর অভিযোগ, রক্তে সংক্রমণের কারণে বুধবার দুপুরে তাঁর মাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুটি ইঞ্জেকশন লিখে দেন। তাঁরা তা কিনে কর্তব্যরত নার্সদের দেন। দীপকবাবুর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তিনি হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন, মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি দেখতে পান, ইঞ্জেকশন দুটি শয্যার পাশের টেবিলে রয়েছে। এর পরে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন মৃতার আত্মীয়-স্বজন। হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পূর্ণাঙ্গ তদন্তের ঘোষণা করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল মহম্মদ রসিদ বলেন, “যে অভিযোগ পেয়েছি তা মারাত্মক। অভিযোগ পাওয়ার পরে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে বৃদ্ধা মৃত্যুর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোষীকে চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মৃতার দেহের ময়নাতদন্ত করাতে রাজি হননি বাড়ির লোক। ফলে, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ পুরোপুরি প্রমাণিত হবে কী ভাবে তা নিয়েও ধন্দে হাসপাতাল। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তিনি বলেন, “যে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে, তাঁর স্বামী ইংরেজবাজার পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর ছিলেন। ইঞ্জেকশন কিনে দেওয়ার পরেও কেন রোগীকে দেওয়া হয়নি তা খতিয়ে দেখে দোষী চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং সুপার আভা সরকার বলেন, “ফিমেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডে কাল রাতে যে তিনজন নার্স ডিউটিতে ছিলেন তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
পোলিও-র বিরুদ্ধে লড়াই
নুরুল আবসার • কলকাতা |
সময়মতো শিশুকে পোলিও-র টিকা খাওয়ান। কানাডা থেকে বৃহস্পতিবার হাওড়ার পাঁচলার শাহপাড়ায় এসে পোলিও আক্রান্ত পাঁচ বছরের রুকসার খাতুনের বাবা আব্দুল শাহকে এই বার্তা প্রচারের দায়িত্ব দিলেন রমেশ ফেরিস। যিনি নিজেও পোলিও আক্রান্ত। জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও বর্তমানে কানাডার নাগরিক রমেশ চাকরির ফাঁকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি হয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে গিয়ে পোলিও-র বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করেন। |