পঞ্চায়েতে সংশয় থেকেই হামলা, মত আলিমুদ্দিনের |
পঞ্চায়েত ভোটে যে সমস্ত জেলা পরিষদে জয় নিয়ে তৃণমূল সংশয়ী, সেখানেই তারা বামেদের উপরে আক্রমণ করছে বলে মনে করে আলিমুদ্দিন। বৃহস্পতিবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার উপরে আক্রমণ-সহ ভাঙড়ের ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়। কথা হয় বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতি নিয়েও। যার ভিত্তিতে সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের মনে হয়েছে, নিজেদের দখলে থাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা-সহ যে সব জেলা পরিষদ জেতা নিয়ে তৃণমূল সংশয়ী, সেই সব জায়গাতেই তারা সন্ত্রাস করছে। সিপিএমের সিদ্ধান্ত, বাম কর্মীরা ছাড়াও যাঁরাই তৃণমূলের হামলার শিকার হবেন, তাঁদেরই পাশে দাঁড়াবে দল।
দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, “লোকসভার পরে বিধানসভা ভোটেও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন ছিল তৃণমূলের প্রতি। কিন্তু মমতা-সরকার দেড় বছর প্রশাসন চালানোর পরে মানুষের একাংশ ক্ষুব্ধ। তৃণমূলের আশঙ্কা, পঞ্চায়েত ভোটে বেশ কয়েকটি জেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন তারা না-ও পেতে পারে।” ওই নেতার কথায়, “বিরোধীদের আতঙ্কিত করতেই তৃণমূল পরিকল্পিত ভাবে হামলা করছে। গাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে, যাতে সভায় যাওয়ার জন্য কেউ গাড়ি না দেয়। রেজ্জাকের উপরে আক্রমণ এবং পরের দিন ভাঙড়ে হিংসা তারই ফলশ্রুতি।” তৃণমূলের নিশানায় থাকা জেলাগুলির দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করছেন সিপিএম রাজ্য নেতৃত্ব। প্রতিটি জোনাল ও লোকাল কমিটিকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তৃণমূলের প্ররোচনায় পা দেওয়া যাবে না। দলের কথায়, “মিছিল-মিটিং-কে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের আশঙ্কা থাকলে তা এড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।”
|
সাবস্টেশনের জমি দেবেন চাষিরা |
জমি-জটে হুগলির চণ্ডীতলা এবং মুর্শিদাবাদের গোকর্ণে সাবস্টেশন তৈরির প্রস্তাব দীর্ঘদিন আটকে ছিল। অবশেষে রাজ্য সরকারের মধ্যস্থতায় স্থানীয় কৃষকেরা জমি দিতে রাজি হওয়ায় ওই দু’টি জায়গায় খুব শীঘ্রই সাবস্টেশন তৈরির কাজ শুরু করতে চলেছে বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থা। এক বিদ্যুৎকর্তা বলেন, “ওই দু’টি সাবস্টেশন তৈরি না-হলে বক্রেশ্বর ও সাগরদিঘি থেকে হুগলি-হাওড়ার গ্রাহকদের জন্য বাড়তি বিদ্যুৎ আনা যাবে না। কৃষকেরা জমি দিতে রাজি হওয়ায় সমস্যা আপাতত মিটল।”
|
২২ বছর পর পশ্চিমবঙ্গে আবাসিক শিবির শুরু করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)। গয়েশপুরে রবিবার পর্যন্ত শিবির চলবে। |