টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে বিধি ভেঙে কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অভিযোগ তুলে কলেজের অধ্যক্ষাকে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্র পরিষদ এবং এসএফআই। বৃহস্পতিবার কাশীপুর ব্লকের মাইকেল মধুসূদন কলেজের ঘটনা।
ওই দুই ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, মঙ্গলবার কলেজে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তৃতীয় বর্ষের চারটি আসনের প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় তাঁদের পাশ করার মাকর্শিটের নকল জমা করতে পারেননি। কাশীপুরের তৃণমূল বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়ার ছেলে তথা কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য সৌমেন বেলথরিয়া অধ্যক্ষার সঙ্গে পরে আলোচনায় বসেন। তার পর টিএমসিপি-র ওই চার প্রার্থীর নথি জমা নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ দিন প্রার্থী তালিকায় ওই চার প্রার্থীর নাম প্রকাশ হওয়ার পরেই কলেজে উত্তেজনা ছড়ায়। এই কলেজের ছাত্র সংসদ বর্তমানে এসএফআই-এর দখলে রয়েছে। |
ছাত্র পরিষদের কলেজ ইউনিটের নেতা আকাশ পাণ্ডের অভিযোগ, “নির্বাচন সংক্রান্ত নোটিসে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, তৃতীয় বর্ষের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মনোনয়ন পত্রের সঙ্গেই প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মার্কশিটের নকল জমা করতে হবে। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ পক্ষপাতমূলক আচরণ করে টিএমসিপি-র ওই চার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র মঞ্জুর করেছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” এসএফআই নেতা রাজেশ গরাই এর দাবি, “মঙ্গলবারই আমরা ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল স্ক্রুটিনিতে ওই চার জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হবে। কিন্তু এদিন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরে দেখা গেল ওই চার জনের নাম রয়েছে।”
সৌমেনবাবু দাবি করেছেন, “মঙ্গলবার কলেজে গিয়ে অন্য ব্যাপারে অধ্যক্ষার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কথাই হয়নি। ওই দুই ছাত্র সংগঠন আমার নাম জড়িয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।” কলেজের অধ্যক্ষা সুব্রতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কলেজ কর্মীদের সুবিধার জন্য তৃতীয় বর্ষের ক্ষেত্রে মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে মার্কশিট জমা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা বাধ্যতামূলক নয়। এক্ষেত্রে তৃতীয় বর্ষের আসন গুলিতে যাঁরা মনোনয়ন জমা করেছেন, স্ক্রুটিনিতে দেখা গিয়েছে তাঁরা এই কলেজেরই ছাত্র। তাই তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়নি।”
সিধো কানু বীরসা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৮ জানুয়ারি পুরুলিয়ার ১৩টি কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে। তবে সদ্য শুরু হওয়া ৬টি কলেজে স্থায়ী পরিচালন সমিতি গঠন না হওয়ায় ওই কলেজগুলিতে নির্বাচন হচ্ছে না। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, নির্বাচনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। |