ছাত্র সংসদের নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন জেলায় কলেজগুলি কিছু দিন ধরেই অগ্নিগর্ভ। বর্ধমান থেকে কুলটি, ঝাড়গ্রাম কিংবা বাঁকুড়াছাত্র সংঘর্ষ ঠেকাতে কলেজ চত্বরেই তলব হয়েছে পুলিশ। দু’পক্ষের হাতাহাতি ঠেকাতে চালাতে হয়েছে মৃদু লাঠিও।
এ বার সেই তালিকায় ঢুকে পড়ল মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ইসলামপুর আদর্শ মহাবিদ্যালয়। সোমবার সেখানে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে শুধু লাঠি নয়, ছুড়তে হল অন্তত দশ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস। সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ২৫ জন ছাত্র। ছাত্রদের পাল্টা ইট-বৃষ্টিতে গুরুতর জখম হন পাঁচ পুলিশ কর্মী। আহত ছাত্রদের ১৮ জনকে ইসলামপুর ও ডোমকলের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ দিনের ঘটনায় ২৬ জন ছাত্র পরিষদ সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতিবাদে সোমবার সন্ধ্যায় ইসলামপুরে প্রায় এক ঘণ্টা বহরমপুর-জলঙ্গি রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন ছাত্র পরিষদের সমথর্কেরা। আজ, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ডোমকল মহকুমায় বারো ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।
হাওড়ার জয়পুর পঞ্চানন রায় কলেজেও এ দিনই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তোলাকে ঘিরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) ও ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরা। আহত হন দু’জন ছাত্র ও দুই পুলিশ কর্মী। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে গত কয়েক বছর ধরেই ইসলামপুরের ওই কলেজে ছাত্র-সংঘর্ষ প্রায় বাৎসরিক ঘটনা দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এ বারের ছাত্র সংসদ নির্বাচন ১৭ জানুয়ারি। নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তোলার এ দিনই ছিল শেষ দিন। দুপুর ২টো পর্যন্ত মনোনয়নপত্র তোলা যাবে বলে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাসব ঘোষ বলেন, “সর্ংঘষ এড়াতে এ বার দোতলার একটি ঘর থেকে মনোনয়নপত্র বিলি করা হচ্ছিল। তবু শেষ রক্ষা হল না। শেষ মুহূর্তে কলেজ চত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নিল।”
|