|
|
|
|
ভাঙা সেতু সংস্কারে টালবাহানা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
কংক্রিটের প্রায় ৬৫ ফুট লম্বা একটি সেতু ভেঙে গিয়েছে তিন মাস আগে। তা নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ তো দূরের কথা, এখনও বিকল্প কোনও ব্যবস্থাই করতে পারেনি ত্রিস্তর পঞ্চায়েত বা সেচ দফতর। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি সারানো নিয়ে প্রশাসনের এই টালবাহানায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এগরা ১ ব্লকের জুমকি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গুরুত্বপূর্ণ হাটবাড়-পাটনা সেতুটি নতুন করে তৈরির দাবিতে গণ-স্মারকলিপিও দিয়েছেন বাসিন্দারা। অভিযোগ, শুকনো আশ্বাস ছাড়া কিছুই হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান প্রতিমা নায়েক বলেন, “প্রায় ৩০ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করেছিল সেচ দফতর। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই পিলার ও উপরের প্লেট ভেঙে যায়। সেতুটি এখন বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে আছে।” জুমকি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক শোভন রায় বলেন, “চওড়া খাল পারাপারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওই সেতু। একে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, তার উপর এলাকায় পরিবহণ বেশি হওয়ায় সেতুটি ভেঙে যায়। ওই এলাকায় এখন কংক্রিটের সেতু ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু নতুন সেতু করবার মতো আর্থিক ক্ষমতাও নেই পঞ্চায়েতের।” |
তিন মাসেও মেরামত হয়নি। ছবি: কৌশিক মিশ্র। |
জুমকি, পানিপাড়ুল, দুবদা-সহ এগরার দুটি ব্লকের প্রায় ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের কাছে যাতায়াতের অন্যতম অবলম্বন এই সেতু। এ ছাড়াও স্কুল, ব্লক, প্রাথমিক ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত পৌঁছনো যায় বলে সেতুটিও গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সঙ্গেও সংযোগ রক্ষা করে সেতুটি। এগরা ১ বিডিও গৌতম সান্যাল বলেন, “বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে।” সেচ দফতরের কাঁথি বিভাগের আধিকারিক স্বপন পণ্ডিত বলেন, “নতুন সেতু তৈরির জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তবে আপাতত একটি কাঠের সেতু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” |
|
|
|
|
|