দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ডেভিস কাপ টাইয়ে লিয়েন্ডার পেজের সঙ্গী হিসাবে কি দেখা যেতে পারে জীবন নেদুনচেঝিয়ান কিংবা বিজয়ন্ত মালিককে?
সোমবার বিকেলের পর এই সম্ভাবনাই ঢুঁ মারছে সর্বভারতীয় টেনিস ফেডারেশনের অন্দরমহলে।
কেন? এআইটিএ-র যে রফাসূত্র রবিবার মধ্যস্থতার একটা পরিবেশ তৈরি করেছিল, রাত পেরোতেই তা বিফলে। টেনিস সংস্থার রফাসূত্রকে বাতিল করে মহেশ-সোমদেবদের খেলোয়াড় জোট এ দিনই জানিয়ে দিল, আংশিক ভাবে নয়, তাদের সব দাবি মেনে নিতে হবে এআইটিএ-কে। আর এখানেই আপত্তি টেনিস কর্তাদের। মহেশ-বোপান্নাদের কর্তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নিজেদের অবস্থান থেকে আর পিছু হঠবেন না তাঁরা। সঙ্গে সতর্কবার্তা, রফাসূত্র মানতে নারাজ খেলোয়াড়দের বাদ দিয়েই প্রয়োজনে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে দল ঘোষণা করা হতে পারে।
এআইটিএ সিইও হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়কে এ দিন ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে মচকানোর কোনও লক্ষ্মণ নেই। এক প্রকার যুদ্ধং দেহি মেজাজে হিরণ্ময়বাবু বলেন, “আমাদের তরফ থেকে সমঝোতার সর্বোচ্চ হাত বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু খেলোয়াড়রা এখন ওদের সব দাবি মানতে বলছে। যা সম্ভব নয়।” |
রফাসূত্র উড়িয়ে দেওয়া বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের একহাত নিয়ে তিনি আরও বলেন, “একজন খেলোয়াড় কখনই একই সঙ্গে প্রশাসক এবং নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করতে পারে না। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে দল নির্বাচন ১১ জানুয়ারি। আমরা আর তিন দিন অপেক্ষা করব। রফাসূত্র মেনে যারা ডেভিস কাপে দেশের হয়ে নামতে ইচ্ছুক তাঁদের নিয়েই দল গঠন করা হবে।”
মহেশ ভূপতির নেতৃত্বে সর্বভারতীয় টেনিস ফেডারেশনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা দেশের বাকি সাত খেলোয়াড় হলেন, রোহন বোপান্না, সোমদেব দেববর্মন, য়ুকি ভামব্রি, সনম সিংহ, বিষ্ণু বর্ধন, দ্বিবীজ শরণ ও সাকেত মিনেনি। এখন প্রশ্ন, যদি এদের কেউই ১০ জানুয়ারির মধ্যে এআইটিএ-র রফাসূত্র মেনে নিতে রাজি না হন, তা হলে পয়লা ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে লিয়েন্ডারের সঙ্গী হবেন কারা?
আর সেখানেই উঁকি মারছে জাতীয় হার্ডকোর্ট চ্যাম্পিয়ন জীবন নেদুনচেঝিয়ান (ক্রমপর্যায়ে ৪২৩), এন শ্রীরাম বালাজি (ক্রমপর্যায়ে ৩২৪), রঞ্জিত ভিরালি (ক্রমপর্যায়ে ৫১৭), বিজয়ন্ত মালিক (ক্রমপর্যায়ে ৫৪২) এবং পূরব রাজা (ডাবলস ক্রমপর্যায় ১৫৫)-র নাম।
অলিম্পিকের আগে থেকেই যে বিদ্রোহের সূচনা ভারতীয় টেনিসে, নতুন বছরে তা কমার বদলে দেখা যাচ্ছে ক্রমে বাড়ছে। এখন দেখার, ডেভিস কাপে এর প্রভাব কী পড়ে। |