পঞ্চায়েত নির্বাচনে হারানো জমি ফিরে পেতে ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি লিফলেট বিলি করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর সিপিএম। আহ্বান জানানো হয়েছে প্রতিবাদ-প্রতিরোধের। এ বার কুৎসা ও অপপ্রচারের জবাব দিতে বাড়ি বাড়ি লিফলেট বিলি করতে চলেছে তৃণমূল। যুব-তৃণমূলের উদ্যোগে প্রায় ২০ হাজার লিফলেট ছাপা হয়েছে।
দু’দলই এই প্রচারে রবীন্দ্রনাথের স্মরণাপন্ন হয়েছে। সিপিএম তাদের লিফলেটে লিখেছিল, ‘মুহূর্ত তুলিয়া শির একত্র দাঁড়াও দেখি সবে’। আর তৃণমূলের লিফলেটে লেখা হয়েছে, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করে সিপিএম ১৯৭৭ সালের আগে দেওয়াল লিখন করেছিল, ‘আমরা গরিব, মেহনতি, সর্বহারা ও শ্রমিক শ্রেণির দল। বাংলার শাসন ক্ষমতায় এলে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।’ কিন্তু, ক্ষমতাসীন হওয়ার পর দীর্ঘ ৩৪ বছরে গরিবকে শোষণ, শাসন করল। মেহনতি সর্বহারাকে করল সর্বস্বান্ত। শ্রমিককে করল শ্রমহারা।’ এই লিফলেট বিলির সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক রয়েছে বলে মানতে নারাজ যুব তৃণমূল। সংগঠনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, “রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা ও অপপ্রচার চলছে। সত্যিটা কী, তা মানুষকে জানাতেই এই উদ্যোগ।” |
রাজনৈতিক মহল যদিও মনে করছে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই কর্মসূচি। এর আগে আগে সিপিএম-ও হারানো সমর্থন ফিরে পেতে লিফলেট বিলি করে। দলের তরফে প্রচারিত সেই লিফলেটে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের কারণ ব্যাখ্যার সঙ্গেই লেখা হয়েছিল গত দেড় বছরে কেন্দ্র ও রাজ্যে কী চলছে। সবশেষে জনস্বার্থ বিরোধী কাজ প্রতিহত করতে জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছিল। অন্য দিকে, যুব তৃণমূলের তরফে প্রচারিত লিফলেটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। যুব-তৃণমূলের বক্তব্য, মা-মাটি-মানুষের সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু হয়েছে। তবুও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। লিফলেটের শেষে তাই আহ্বান রাখা হয়েছে, ‘আসুন রুখে দিন কায়েমি স্বার্থকে। এগিয়ে নিয়ে যাই বাংলাকে।’ সঙ্গে গত দেড় বছরে জঙ্গলমহলের জন্য রাজ্য সরকার ঠিক কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, তার খতিয়ানও তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে সব মিলিয়ে ৩৯টি প্রকল্পের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। |