|
|
|
|
কেলেঘাই সংস্কারের কাজ বন্ধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় এ বার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচা পঞ্চায়েত এলাকায় বন্ধ হল কেলেঘাই নদী সংস্কারের কাজ।
মঙ্গলবার জেলা সেচ দফতরের কর্তাদের উপস্থিতিতে ময়নার বাকচা এলাকার খিদিরপুর গ্রামে কেলেঘাই নদীর ধারে সভা করে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়ে দেন, আগে অধিগৃহীত জমির বকেয়া ক্ষতিপূরণ, নতুন করে অধিগ্রহণের জমি চিহ্নিতকরণ, জমি অধিগ্রহণের টাকা পঞ্চায়েত অফিসে নগদে প্রদান ও সাত দিনের মধ্যে সভা ডেকে বেনেফিসিয়ারি কমিটি গঠন না করা পর্যন্ত কাজ করতে দেওয়া হবে না। ফলে বুধবার থেকে স্থানীয় খিদিরপুর, মাধবচক গ্রামে চলা কেলেঘাই নদী সংস্কারের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেচ দফতরের পূর্ব মেদিনীপুর বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার তাপস মাইতি বলেন, “আমরা নদীর সংস্কার কাজ চালু রাখতে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধানের উপস্থিতিতে সভায় কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন সকলে মিলে।”
বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান দুর্গা দাস বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দারা আগের বারের ক্ষতিপূরণের ২০ শতাংশ টাকা এখনও পায়নি। এ বারও জমি অধিগ্রহণের কাজ হবে। কিন্তু তাঁর আগে কতটা জমি নেওয়া হবে তা চিহ্নিত করা দরকার। কী ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে তা-ও আলোচনা করতে হবে। এই সব দাবিতেই গ্রামবাসীরা কাজ বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবির বিষয়ে আলোচনার জন্য সেচ দফতরের আধিকারিক ও জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে জানিয়েছি।”
গ্রামবাসীদের এই সিদ্ধান্তে অবশ্য সায় নেই তৃণমূলের জেলা পরিষদের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা বলেন, “যে ভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা পঞ্চায়েত প্রধানের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা মোটেই সমর্থন করা যায় না। কারণ এখন কাজ বন্ধ হলে বর্ষার মধ্যে ওই নদী সংস্কার কাজের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে না। দ্রুত কাজ চালুর জন্য বলা হয়েছে। আমরা শীঘ্রই স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি নিয়ে আলোচনায় বসব।”
কেলেঘাই নদী সংস্কার প্রকল্পে দ্বিতীয় পর্যায়ে চাবুকিয়া থেকে ঢেউভাঙা পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার নদী সংস্কারের জন্য ৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে ঠিকাদার নিয়োগ করেছে সেচ দফতর। এর আগে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি ভগবানপুরের শিলাখালি ও ময়নার গোড়ামহলে ওই নদীর উপর ক্রশ বাঁধ তৈরি করতে গিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মকর্তাদের বাধার মুখে পড়ে ঠিকাদার। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ক্রশ বাঁধ তৈরির কাজ হয়। ফের তৃণমূলের একটি পঞ্চায়েত থেকেই বাধা এল কাজে।
|
|
|
|
|
|