শেষ পর্যন্ত চরম বিপর্যয় এড়াতে পারল মার্কিন অর্থনীতি। সে দেশের সাধারণ মানুষের উপর চড়া হারে কর বসানো ও বিপুল পরিমাণে সরকারি খরচ ছাঁটাইয়ের প্রস্তাব এড়াতে যে বিল আনা হয়েছিল, তা মঙ্গলবার পাশ হয়ে গেল মার্কিন প্রতিনিধিসভাতেও (হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ)। ২৫৭-১৬৭ ভোটে। এই বিলে মার্কিন কংগ্রেসের আর এক কক্ষ সেনেট সায় দিয়েছিল সোমবারই।
|
কেল্লা ফতে। প্রতিনিধিসভায়
বিল পাশের পর ওবামা।
ছবি: এপি |
আশঙ্কা ছিল, ঘাটতি ও ধার কমাতে ওই কর বসানো এবং খরচ ছাঁটাইয়ের প্রস্তাব কার্যকর হলে শুধু আমেরিকাতেই কাজ হারাবেন ৩৪ লক্ষ মানুষ। ফের মন্দার মুখে পড়বে মার্কিন অর্থনীতি। সঙ্কট গভীর হবে গোটা বিশ্বে। যে সঙ্কটকে ‘ফিস্কাল ক্লিফ’ নামে ডেকেছে সারা পৃথিবী। আপাতত সেই আশঙ্কা থেকে রেহাই পাওয়ায় স্বস্তির শ্বাস ফেলেছে আমেরিকা। হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে বিশ্ব। কিছুটা যার প্রতীকী হিসেবে মঙ্গলবার মধ্যরাতে হাসি মুখে হোয়াইট হাউস ছেড়েছেন প্রেডিডেন্ট বারাক ওবামা। ফিরে গিয়েছেন হাওয়াইয়ে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে। এই বিল পাশের পক্ষে সওয়াল করতে যা থেকে মাঝ পথেই ছুটে এসেছিলেন তিনি। এ দিন বিল পাশের পর ওবামা বলেন, “ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের ধন্যবাদ। আমি ধনীদের উপর করের বোঝা বাড়ানো এবং মধ্যবিত্তদের বেশি কর থেকে রেহাই দেওয়ার বিলে সই করব। এটা না হলে আমেরিকাকে মন্দার কবলে পড়তে হত। তীব্র সঙ্কটে পড়ত বেশির ভাগ মার্কিন পরিবার।”
ফিস্কাল ক্লিফ এড়ানোর সুখবরে বুধবার ভারত-সহ প্রায় সব দেশের শেয়ার বাজারকেই উঠতে দেখা গিয়েছে। ভারতে সেনসেক্স ১৩৩ পয়েন্ট বেড়ে ছুঁয়েছে ১৯,৭১৪.২৪ অঙ্ক। নিফটি পেরিয়েছে ছ’হাজারের গণ্ডি। দুই-ই গত দু’বছরে সর্বোচ্চ।
|
পাক বন্দুকবাজের হামলা, হত পাঁচ শিক্ষিকা-সহ ৭ |
মেয়েদের শিক্ষার জন্য আওয়াজ তুলেছিল ছাত্রী মালালা ইউসুফজাই। সেই ‘অপরাধে’ গত বছর স্কুলবাসে যাওয়ার সময় তাকে গুলি করেছিল তালিবান। মঙ্গলবার অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজদের হামলায় নিহত হলেন মেয়েদের স্কুলের পাঁচ শিক্ষিকা এবং দুই স্বাস্থ্যকর্মী। মোটরবাইকে করে এসে বন্দুকবাজরা খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে তাঁদের ভ্যান লক্ষ্য করে গুলি চালায়। জখম হয়েছেন ভ্যানের চালক। নিহতরা সোয়াবি ওমেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাঁচ শিক্ষিকা সোয়াট উপত্যকায় একটি মেয়েদের স্কুলেও পড়াতেন। এই সোয়াট উপত্যকারই মেয়ে মালালা, যে আক্রান্ত হওয়ার পরে একটি মেয়েদের স্কুলের নাম বদলে মালালার নামে করার দাবি উঠেছিল। কিন্তু স্কুলের পড়ুয়ারা তার প্রতিবাদ করেছিল। তাদের আশঙ্কা ছিল, তা হলে ফের হামলা হতে পারে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। |