টুকরো খবর |
রাতে হোটেলে পুলিশি নজরদারি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পিকনিক দলের সদস্যদের সঙ্গে খাবার নিয়ে বচসার জেরে হোটেল মালিক খুন হওয়ার পরে জাতীয় সড়কের দু’পাশের হোটেলগুলোয় রাতে নজরদারি বাড়াল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে বেলদার বিভিন্ন হোটেলে নজরদারি চলে। পুলিশকর্মীরা গিয়ে হোটেল মালিকদের কিছু পরামর্শ দেন। পিকনিক দলের সদস্যদের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে তা পুলিশকে জানাতে বলা হয়। বেলদা থানার ওসি পলাশ মিত্র বলেন, “জাতীয় সড়কের দু’পাশের হোটেলগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রয়োজনে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।” সোমবার রাতে মেদিনীপুরের এক পিকনিক দলের সদস্যদের সঙ্গে বচসা হয়েছিল বেলদার এক হোটেলের মালিক- কর্মীদের। খাবার দেওয়া নিয়েই বচসার সূত্রপাত। পরে দু’পক্ষের হাতাহাতি হয়। এই সময়ই মাথায় আঘাত পান সুনীল কর নামে ওই হোটেলেরই এক মালিক। ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই পিকনিক দলের ৩৫ জন সদস্যকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ধৃতদের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে মেদিনীপুর আদালত। এই সময় বহু মানুষ পিকনিক করতে যান। মেদিনীপুর- খড়্গপুর থেকে বেলদার উপর দিয়েই দীঘা, ওড়িশা যেতে হয়। তাই রাতে বিভিন্ন হোটেলে পিকনিক দলের সদস্যদের ভীড় লেগেই থাকে। সোমবার রাতের ঘটনার জেরে জাতীয় সড়কের দু’পাশে থাকা হোটেল মালিকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ নিয়মিত নজরদারি চালালে এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম থাকে। পুলিশ জানিয়েছে, রাতে নজরদারি চলতই। তবে সবদিক খতিয়ে দেখেই নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। |
লরির ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
লরির চাকায় পিষে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে মেদিনীপুরের সিপাইবাজারে। মৃতের নাম সুজিত ভকত (৭০)। বাড়ি খাপ্রেলবাজার এলাকায়। দুই এলাকাই পাশাপাশি। রোজকার মতো এদিন সকালেও বাড়ি থেকে বেরিয়ে সিপাইবাজারের এক দোকানে চা খেতে এসেছিলেন সুজিতবাবু। চা খেয়ে বাড়ি ফেরার পথেই ঘটনা দুর্ঘটনা। একটি লরি যখন পিছিয়ে সিপাইবাজারের দিকে আসছিল, তখন তার পিছনের চাকায় পৃষ্ট হয়ে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। শুরুতে লরির ধাক্কায় তিনি রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। মুহূর্তে লরির চাকা তাঁকে পিষে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লরিটিকে আটক করেছে। তবে চালক পলাতক। |
|