লোকালয়ে ঢুকে দু’জনকে জখম করে লুকিয়ে থাকা চিতাবাঘের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বন দফতরের কর্মীরা। বুধবার দার্জিলিঙের কাকঝোরা এলাকার বিবি গিরি রোডে ঘটনাটি ঘটেছে। বন দফতর সূত্রের খবর, জখমদের মধ্যে একজনের মুখে আঁচড় এবং আরেকজনের পায়ে চিতাবাঘটি কামড়ে দিয়েছে। প্রায় সাড়ে তিনঘন্টা এলাকার একটি গ্যারেজে লুকিয়ে থাকার পরেও চিতাবাঘটি ধরতে পারেনি বনকর্মীরা। গ্যারেজের লোহার জানলা দিয়ে লাফিয়ে চিতাবাঘটি পালিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকে বনকর্মীরা কারঝোরার বসতি ও বাজার এলাকায় জন্তুর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। সিনচল বন বিভাগের রেঞ্জার (ওয়েস্ট) ইউএস তামাং বলেন, “সকালে খবর পাওয়া মাত্রই তল্লাশি শুরু হয়। ৪টা অবধি চিতাবাঘটিকে পাওয়া যায়নি। পরে একটি গ্যারেজে জন্তুটিকে দেখা যায়। গাড়ির তলায় সেটি লুকিয়ে ছিল। ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়ে ধরার আগেই লোহার জানলা দিয়ে সেটি পালায়। চিতাবাঘটির খোঁজে তল্লাশি চলছে।” কাকঝোরা এলাকা লাগোয়া পানডাম বা টাইগার হিলের জঙ্গল থেকে চিতাবাঘটি এসেছিল বলে ইউএস তামাং জানিয়েছেন। বন দফতর এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, সকাল ১১ টা নাগাদ শৌচালয়ে যাওয়ার সময় ঘর থেকে বার হন কাকঝোরার বাসিন্দা পাশাং শেরপা। শৌচালয়ের দরজা খুলে চিতাবাঘটিকে দেখে সজরো দরজা বন্ধ করতে গিয়ে তিনি পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। সঙ্গে সঙ্গে চিতাবাঘটি মুখে আঁচড় দিয়ে পালায়। এর পরে সেটির খোঁজ শুরু হয়। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাসিন্দারা বাড়ির দরজা, জানলা বন্ধ করে দেন। এর পরে বিকাল ৪ টা নাগাদ এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে গাড়ি বার করতে যান স্থানীয় বাসিন্দা তাশি তামাং। গাড়ির দরজা খুলে বসার সময়ে তাশি তামাঙের পায়ে কামড় দেয় চিতাবাঘটি। এলাকায় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। বনকর্মীরা সেটিকে ধরার চেষ্টা শুরু করেন। সেটি গাড়ির নীচে ঢুকে বসে ছিল। ৭টা নাগাদ জানলার ফাঁকা অংশ দিয়ে ঝোরার দিকে পালায় চিতাবাঘটি। |