দিঘির জলের নীচে থাকা মন্দিরের তালা ভেঙে দেবী যোগদ্যার গয়নী-সহ বেশ কিছু মূূল্যবান জিনিস নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি গটেছে মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামে। যোগদ্যা দেবীর মূর্তিটি বছরভর জলের নীচেই থাকে। বৈশাখ মাসের শেষ দিন জল থেকে সেটি তুলে এনে পুজো করা হয়। চুরির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কাটোয়ার সিআই শচীন্দ্র পুড়িয়া, মঙ্গলকোট থানার ওসি দীপঙ্কর সরকার। তাঁরা জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানান গিয়েছে, বুধবার সকালে ওই মন্দিরের সেবাইত দীনবন্ধু চৌধুরী জানান, ক্ষীরদিঘিতে পাশাপাশি দু’টি মন্দির রয়েছে। একটি পুরনো ও অন্যটি নতুন। দু’টিতেই দেবী যোগদ্যার মূর্তি রয়েছে। তাঁর দাবি, “নতুন মন্দিরে ঢুকতে গিয়ে দেখি, তালা ভাঙা। তখনই পড়শিদের খবর দিই।” পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি মন্দিরে তিনটি করে তালা ভেঙেছে দুষ্কৃতীরা। তার পরে মন্দিরে ঢুকে লুঠপাট চালিয়েছে। দুই মন্দির থেকে প্রণামী বাক্স, পিতলের মূর্তি, গয়না ও বাসনপত্র-সহ বহু জিনিসপত্র লুঠ করেছে তারা। যোগদ্যা মন্দির কমিটির সম্পাদক আশিস সামন্তের দাবি, “মন্দির থেকে খানিক দূরে ভাঙা অবস্থায় প্রণামী বাক্সটি পাওয়া গিয়েছে। মন্দির থেকে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী খোয়া গিয়েছে।’’
|
অভিযানে গিয়ে হামলা, নালিশ খণ্ডঘোষে |
অভিযানে গিয়ে বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে আবগারি কর্মীদের বিরুদ্ধে। খণ্ডঘোষের খেজুরহাটি গ্রামের বাসিন্দা জ্যোৎস্না বাগ গত সোমবার খণ্ডঘোষ থানায় অভিযোগ করেন, সে দিন দুপুর ৩টে নাগাদ আবগারি দফতরের একটি গাড়ি মাদক সংক্রান্ত প্রচারে তাঁদের গ্রামে যায়। তাঁদের বাড়ির সামনে গিয়ে গাড়িটি দাঁড়িয়ে পড়ে। কর্মীরা গাড়ি থেকে নেমে বাড়িতে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। টাকা-গয়না নিয়ে নেয়। এমনকী, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা বধূকে লাথি মারে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। ওই মহিলার আরও অভিযোগ, শুধু তাঁদের বাড়ি নয়, আশপাশের আরও দু’টি বাড়িতেও চড়াও হয় ওই আবগারি কর্মীরা। গ্রামের পুরুষেরা ধান কাটার কাজে খেতে ব্যস্ত থাকার সুযোগ নিয়েই অভিযানে আসা ওই কর্মীরা এমন অশান্তি করে যায় বলে তাঁর দাবি। খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ অবশ্য জানায়, এ ব্যাপারে তাদের কিছু জানা নেই। অভিযোগপত্রটি বর্ধমানের আবগারি সুপারের উদ্দেশে লেখা হয়েছে। সেটি আবগারি দফতরকে পাঠানো হচ্ছে। বর্ধমানের এক্সাইজ বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার সুরজিৎ সরকার বলেন, “অভিযানে গিয়ে হামলা হয়েছে, এমন অভিযোগের কথা শুনিনি। কোনও অভিযোগপত্রও পাইনি। তা পেলে দফতরের তরফে তদন্ত করা হবে। খণ্ডঘোষ থানার কাছেও বিষয়টি জানতে চাওয়া হবে।”
|
পূর্বসাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের সাহাপুর আমবাগানে ভ্যানচালককে খুনের অভিযোগে আট জনকে গ্রেফতার করল কালনা থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অশোক দাস, হরিদাস দাস, বিশ্ব দাস, মহাদেব দাস, গোপাল সিংহ, তরুণ দাস, স্বপন সরকার ও সুব্রত দাস। বাড়ি উত্তর বাধাগাছি, মেদগাছি ও দক্ষিণ বাধাগাছি এলাকায়। বুধবার ধৃতদের কালনা এসিজেএম আদালতে তোলা হলে পাঁচ জনের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত ও বাকি তিন জনের ১৪ দিনের জেল-হাজত হয়। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, রেলের কিছু মালপত্র চুরির ঘটনা জানতেন খুন হওয়া শঙ্কর প্রামাণিক। এই ঘটনা সকলকে বলে দেওয়ার হুমকি দিলে তাকে খুনের পরিকল্পনা করে ধৃতেরা। বৃহস্পতিবার রাতে মদের আসরে ডেকে এনে তাকে পরিকল্পনা মাফিক খুন করে তারা। নেতৃত্ব দেয় হরিদাস। উল্লেখ্য, ঘটনার দিন বিকেলে ভ্যান নিয়ে বেরিয়েছিলেন শঙ্করবাবু। রাতে বাড়ি ফেরেননি। পরের দিন কাছাকাছি রেললাইন সংলগ্ন একটি আমবাগানে তার দেহ মেলে।
|
মূক-বধিরকে ধর্ষণে কালনায় গ্রেফতার যুবক |
ডাঙাপাড়ায় মূক ও বধির তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে কালনা থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম হীরু বাগ। বুধবার ধৃতকে কালনা আদালতে তোলা হলে তাকে ১৪ দিন জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ৩ জানুয়ারি ওই তরুণীকে টিআই প্যারেডে হাজির করানোর নির্দেশ দেয় আদালত। ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ডাঙাপাড়া এলাকার ওই তরুণীর এক আত্মীয় কালনা থানার পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ওই তরুণী বাড়িতে একাই থাকতেন। তার মা-বাবা একটি খুনের মামলায় জেলে রয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর বাড়িতে ঢুকে তাঁর উপরে শারীরিক নির্যাতন চালনো হয় বলে অভিযোগ। ২১ ডিসেম্বর থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো পরে পুলিশ জানতে পারে, ৩৫ বছর বয়সী ওই তরুণী ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এর পরে পুলিশ ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলান মূক ও বধিরদের পড়ান এমন এক শিক্ষিকাকে। পুলিশের দাবি, ওই তরুণী তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে ওই শিক্ষিকাকে জানিয়েছিলেন। এর পরেই পুলিশ হীরুকে গ্রেফতার করে।
|
শিশু নির্যাতনে গ্রেফতার চেয়ে থানা ঘেরাও |
ঝোপ থেকে জখম শিশু উদ্ধারের ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থার দাবিতে থানা ঘেরাও করল গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। ওই শিশুর পরিচয় খুঁজে বের করা ও তার উপরে অত্যাচারে জড়িতদের শীঘ্র গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। সোমবার কাটোয়ার গোয়াই লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে একটি পুকুরপাড় থেকে তিন বছরের ওই শিশুকন্যাকে উদ্ধার করেন স্থানীয় এক বধূ। তিনিই পুলিশের কাছে ওই শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। ডাক্তারি পরীক্ষাতেও তার প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানায়, শিশুটির পরিচয় বা অভিযুক্তদের ব্যাপারে এখনও তারা অন্ধকারে। মুর্শিদাবাদের বাজারসৌ এলাকায় মাইকে করে শিশুটির ব্যাপারে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শিশুটির অভিভাবকের হদিস মেলেনি। কাটোয়া হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, শিশুটির স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। |