ডাক্তারির নয়া প্রবেশিকা
ডাক্তারি পড়ার ক্ষেত্রে শেষ হল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের জমানা। আগামী বছর থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে ‘নিট’। অর্থাৎ ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট। রাজ্য-সহ দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার এক নতুন প্রবেশিকা পরীক্ষা।

কী বদলালো

এত দিন ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারি, দ্বাদশ পাশের পর এই দু’টি বিষয় পড়ার জন্যই বসতে হত রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড আয়োজিত পরীক্ষায়। মেধা তালিকায় প্রাপ্ত স্থানের নিরিখে ভর্তি হওয়া যেত রাজ্যেরই কোনও ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু আগামী বছর (২০১৩) থেকে ডাক্তারি পড়তে চাইলে জয়েন্ট নয়, নিট পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে হবে রাজ্যের ১৫টি মেডিক্যাল এবং পাঁচটি ডেন্টাল কলেজে।
পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট রাজ্য আয়োজিত প্রবেশিকা পেরিয়েই এত দিন কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হত ভিন্ রাজ্যের পড়ুয়াদের। কিন্তু এ বার থেকে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা হিসেবেই নিট-এর আয়োজন করছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)। ফলে যে কোনও রাজ্যের ছাত্রছাত্রী অন্য রাজ্যের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবেন এই পরীক্ষাটি দিয়েই। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়ারা নিট দিয়ে রাজ্যে বা রাজ্যের বাইরে যে কোনও প্রতিষ্ঠানে ডাক্তারি পড়তে পারবেন।

সংশয় কাটাতে জানুন
প্রথম বার অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই পরীক্ষা। তাই এর ধরন সম্পর্কে পরীক্ষার্থীদের মনে কোনও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকা উচিত নয়। নিট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকলে নিজেকে প্রস্তুত করতে সুবিধা হবে।
১) মোট ১৮০টি প্রশ্ন।
২) তিন ঘন্টার পরীক্ষা।
৩) প্রশ্নের বিষয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান (প্রাণিবিদ্যা এবং উদ্ভিদ বিদ্যা)।
৪) চারটি উত্তরের মধ্যে সঠিকটি বাছতে হবে।
৫) প্রতিটি ঠিক উত্তরের জন্য
৪ নম্বর পাওয়া যাবে। আর ভুল ইত্তর দিলে কাটা যাবে ১ নম্বর।
৬) ইংরেজি ও হিন্দির পাশাপাশি বাংলা-সহ কিছু আঞ্চলিক ভাষাতেও প্রশ্নপত্র থাকবে।
৭) যে সব বাঙালি পড়ুয়া রাজ্যেই ডাক্তারি পড়তে চান, তাঁদের প্রশ্নপত্র বাংলা ও ইংরেজি ভাষার হবে।
৮) রাজ্যের বাইরের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার লক্ষ্য থাকলে ইংরেজি বা হিন্দি প্রশ্নপত্র নিতে হবে।

কারা দিতে পারেন
• ভারতীয় নাগরিকরা।
• অনাবাসী ভারতীয়রা।
• ন্যূনতম ১৭ বছর বয়সীরা। কিছু প্রতিষ্ঠানে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২৫ বছর। কোথাও আবার ঊর্ধ্বসীমা নেই।
• ১০+২-এ যাঁদের পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান বা জৈবপ্রযুক্তি এবং ইংরেজিতে পাশ নম্বর আছে। সেই সঙ্গে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বা জৈবপ্রযুক্তি এই তিনটি মিলিয়ে ন্যূনতম পক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর আছে। তফসিলি জাতি-উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ থাকলেই চলবে।
• আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৩-তেই যাঁরা ১০+২ দিচ্ছেন, তাঁরাও সামনের বছর বসতে পারেন এই প্রবেশিকায়। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব শর্তপূরণের প্রমাণ দিতে হবে।

মাথায় রাখুন

• নিট পরীক্ষায় ৫০ শতাংশের কম পেলে প্রার্থীকে সফল বলে বিবেচনা করা হবে না।
• এ রাজ্যের মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল কলেজে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৮৫% আসন ধার্য। সে ক্ষেত্রে প্রার্থীকে এ রাজ্যে বসবাসের প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
• রাজ্যের বাইরেও পড়া যায়।
• তবে সব কিছুই নির্ভর করছে, মেধা তালিকায় প্রার্থীর স্থানের উপর।
• রাজ্যের বাইরের কলেজে ভর্তির জন্য প্রার্থীকে ইংরেজি বা হিন্দি মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে হবে।
• মেধা তালিকা তৈরির সময় একই নম্বর পেয়েছেন এমন দুই বা ততোধিক পড়ুয়ার মধ্যে তাঁকেই বেছে নেওয়া হবে, যিনি নিট-এ জীববিজ্ঞানে বেশি নম্বর পাবেন।
• এ রাজ্যে পরীক্ষা হবে কলকাতা, দুর্গাপুর এবং শিলিগুড়িতে।

গুরুত্বপূর্ণ তারিখ
আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরীক্ষা হবে ২০১৩-র ৫ মে (রবিবার)। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ফলাফল প্রকাশিত হবে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে।

আবেদনের পদ্ধতি
অনলাইনে আবেদন করার জন্য www.cbseneet.nie.in ওয়েবসাইটে যান। এখানে ক্রমানুযায়ী কী ভাবে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে, তা জানানো হয়েছে। তবে কোনও পরীক্ষার্থীর যদি আবেদনপত্র পূরণ করতে অসুবিধা হয়, তার জন্য কয়েকটি সহায়তা কেন্দ্রও খোলা হয়েছে এ রাজ্যে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় (সল্টলেক, নিকো পার্কের বিপরীতে), লক্ষীপত সিংহানিয়া অ্যাকাডেমি (আলিপুর), কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সল্টলেক (ই বি ব্লক), ডি এ ভি মডেল স্কুল (দুর্গাপুর), ডি এ ভি মডেল স্কুল (আসানসোল), ডি এ ভি মডেল স্কুল (আই আই টি খড়্গপুর), ডি পি এস প্রধাননগর (শিলিগুড়ি)। নিয়মিত নজর রাখুন উপরিউক্ত ওয়েবসাইটে।


খেয়াল রাখুন
দক্ষতা যাচাইয়ে জোট দুই প্রতিষ্ঠানের
২০১৩-র ওয়ার্ল্ড-স্কিল কম্পিটিশনের জন্য ভারতের প্রতিনিধি বাছতে, ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের (এনএসডিসি) সঙ্গে হাত মিলিয়ে একটি সর্বভারতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ার আয়োজন করেছে অ্যাপটেক। আগামী জুলাই ওয়ার্ল্ড-স্কিল চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হবে জার্মানির লিপজিগ-এ। মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইনিং-এর উপর হয় এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। সেখানে ওয়েব ডিজাইনিং বিভাগে যোগ দেবে ভারত।
অ্যাপটেক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আবেদনপত্র ডাউনলোড করা যাবে http://www.aptech-education.com/nsdc/nsdcindex.aspx ওয়েবসাইট থেকে। জমার শেষ দিন ৩০ ডিসেম্বর। ২৩ বছরের নীচে বয়স হলে আবেদন করা যাবে। সর্বভারতীয় পরীক্ষাটির শীর্ষ স্থানাধিকারী লিপজিগ যাওয়ার এবং থাকার খরচ পাবেন। আবেদনপত্র পাঠানো ও বাছাই পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ফোন করুন ১৮০০-২০৯-১৪৪৪ নম্বরে। আবেদনপত্র মেল করুন worldskillcompetition@aptech.ac.in-এ।


ম্যানেজমেন্ট পড়ার প্রবেশিকা পরীক্ষা
ইকফাই বিজনেস স্কুল অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট (আইবিএসএটি)-এ বসার জন্য আবেদন পত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা পিছিয়ে দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হল। ইকফাই বিজনেস স্কুলে (আইবিএস) ম্যানেজমেন্ট পড়ার এই প্রবেশিকায় বসতে আগ্রহী হলে www.ibsindia.org/ibsat ওয়েবসাইটে ‘অ্যাপ্লিকেশন ফর আইবিএসএটি ২০১২’ লিঙ্কে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করুন। সেটা ৯৬৭৪৩৪০৫৪০ নম্বরে ফোনও করেও সেটা করা যায়। দেশে ইকফাইয়ের ৯৫টি কেন্দ্রে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে কম্পিউটার ভিত্তিক ওই অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট। ইন্টারভিউ হবে মার্চে, হায়দরাবাদে। আইবিএসএটি ও ইন্টারভিউর মাধ্যমে মূলত ভর্তি করা হলেও, ২০১২-র জিম্যাট ও ক্যাট প্রবেশিকার নম্বরের ভিত্তিতেও ভর্তি হওয়া যায়। ১৭ জুন থেকে ক্লাস। স্নাতকে ৫০% বা তার বেশি পেলে আবেদন করতে পারেন।


Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.