নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সিপিএম নেতার ছেলে ও তার চার সঙ্গীদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। শুক্রবার অভিযোগ দায়ের করার পরে দু’দিন কেটে গিয়েছে। অন্যতম অভিযুক্ত কালাম ফেরার হলেও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কিন্তু পুলিশ নিরুত্তাপ। পুলিশের এই নিস্পৃহতায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। নির্যাতিতা ছাত্রীটির মায়ের অভিযোগ, “মেয়েকে তুলে নিয়ে রাতভর অত্যাচার করল, আর তারাই কি না এখন লোক পাঠিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছে, অভিযোগ তুলে নিতে বলছে!” তবে তিনি ওই ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি নন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন। ছাত্রীটিও বলে, “যে আমাকে ধর্ষণ করল তাকে বিয়ে করতে চাই না। কালাম ও তার সব শাগরেদের শাস্তিই চাই।” বৃহস্পতিবার বিকেলে বামনগ্রাম হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে পাঁচ যুবক আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তুলে কালিয়াচকের একটি হোটেলে নিয়ে যায়। ছাত্রীটির বক্তব্য, কালাম নামে ওই যুবকের সঙ্গে তাকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে অন্য চার জন চলে যায়। সারা রাত ধর্ষণের পরে ছাত্রীটিকে একটি ট্যাক্সিতে তুলে বালিয়াডাঙার কাছে নামিয়ে পাঁচ যুবক চলে যায়। ছাত্রীটি দু-জনের নাম জানায়। পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। শুক্রবার ছাত্রীটির মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের চিহ্ন মিলেছে বলে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে। তা হলে পুলিশ এক জনকেও ধরতে পারল না কেন? মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “যে দু’জনের নাম মিলেছে তারা গা-ঢাকা দিয়েছে। তাদের ধরতে পারলেই অন্যদের নাম জানা যাবে। তবে রাতভর ষোলো বছরের এক কিশোরী বাড়ি ফিরল না, বাড়ির লোকই বা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন, তা-ও ভাবাচ্ছে।” এ দিন তৃণমূলের তরফে কালিয়াচক থানায় স্মারকলিপি দিয়ে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। কালিয়াচকের হোটেলটি চিহ্নিত করে মালিক ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে কংগ্রেস। সোমবার ছাত্রীটির বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
|
পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কোচবিহারে ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে ঐক্য বজায় রেখে এগোনোর পরামর্শ দিলেন সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। শনিবার দলের কৃষক সংগঠনের কোচবিহার জেলা সম্মেলনের সমাবেশে এ কথা জানান গৌতমবাবু। তিনি বলেন, “আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কোচবিহার জেলায় সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লক কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে। পাশাপাশি, গত বিধানসভা ভোটের পরাজয়ের জন্য নিজেদের ভুল শুধরে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উপদেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর পরামর্শ, “কংগ্রেস, তৃণমূল ও বিজেপির সমালোচনা করলেই হবে না। মাঝেমাঝে আয়নায় নিজের মুখও দেখতে হবে।” সংগঠনের সভায় ভাষণ দেন প্রাদেশিক কৃষক সভার রাজ্য সভাপতি মদন ঘোষ, প্রাক্তন মন্ত্রী অনন্ত রায়, দীনেশ ডাকুয়া-সহ স্থানীয় ও জেলাস্তরের বক্তারা। রবিবার পর্যন্ত খোলটা হাইস্কুলে সংগঠনের প্রতিনিধি সম্মেলন চলবে।
|
রাজ্যের কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার প্রকল্প শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহার সফরে এসে প্রকল্পের সূচনা করবেন। শনিবার নকশালবাড়িতে এসে এই কথা জানিয়েছেন রাজ্যের কৃষি অধিকর্তা পরিতোষ ভট্টাচার্য এবং মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। তাঁরা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে কৃষক পিছু ৮ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ৩১ হাজার কৃষক এই সুযোগ পাবেন।
|
দার্জিলিং পাহাড়ের গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে (জিটিএ) আরও শক্তিশালী করতে সাংবিধানিক স্বীকৃতি জরুরি বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। শনিবার বিকালে শিলিগুড়ির অনিল বিশ্বাস ভবনে নিজের লেখা বই ‘গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন ও পরিচিতি সত্বার প্রশ্ন’ শীর্ষক বিক্রির সূচনার অনুষ্ঠানে অশোকবাবু ওই মন্তব্য করেছেন। |