শতবর্ষের অধিবেশনে এ বার দেশের উন্নয়নের জন্য নারী ক্ষমতায়নের বিষয় তুলে ধরতে চায় জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস। থাকছে খুদে বিজ্ঞানীদের জন্য বিশেষ অধিবেশনও।
গত বিজ্ঞান কংগ্রেসেই প্রথম বার মহিলাদের জন্য বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছিল। যার নাম দেওয়া হয় মহিলা বিজ্ঞান কংগ্রেস। এ বার একশো বছর পূর্তি উপলক্ষে তাকে আরও বৃহত্তর রূপ দিতে চান বিজ্ঞান কংগ্রেসের কর্তারা।
আগামী ৪ জানুয়ারি সত্যেন্দ্রনাথ বসু ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সেস-এ এই অধিবেশন শুরু হবে। চলবে ৬ তারিখ পর্যন্ত। আয়োজকদের তরফে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (অর্থ) মমতা রায় জানিয়েছেন, শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়, অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রকল্প অধিকর্তা টেসি টমাস-সহ দেশের বিশিষ্ট মহিলা বিজ্ঞানীরা ওই অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন।
কেন এই বিশেষ অধিবেশন?মমতাদেবী জানিয়েছেন, বিজ্ঞানের কয়েকটি ক্ষেত্রে গবেষণায় কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়। এ দেশে মহিলারা নানা সাংসারিক দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি যে ভাবে গবেষণা করছেন, তা তুলে ধরার প্রয়োজন রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই এই বিশেষ অধিবেশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অধিবেশনে আমন্ত্রিত বক্তাদের দেখে ভবিষ্যতের মহিলা গবেষকরা উৎসাহ পাবেন বলেও আয়োজকদের দাবি।
একটি সূত্রের খবর, মহিলা কংগ্রেসের অনুষ্ঠানসূচিতে নীতি-নির্ধারণের ক্ষেত্রে মহিলাদের স্বনির্ভরতা, শিক্ষাক্ষেত্রে কৃতী মহিলা এবং মহিলাদের স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনাচক্র রয়েছে। অধিবেশনের শেষ দিনে সমাজের নানা ক্ষেত্রে মহিলাদের অবদান নিয়েও বিশেষ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞান-শিক্ষার আলোচনার বাইরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও রেখেছেন উদ্যোক্তারা। মমতাদেবী বলেন, “ঊষা উত্থুপের গান ও অলকানন্দা রায়ের নাচের অনুষ্ঠান থাকবে।”
মহিলা বিজ্ঞান কংগ্রেসের পাশাপাশি সত্যেন্দ্রনাথ বসু ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সেস-এ চলবে শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসও। যার উদ্বোধন করতে শহরে আসছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম। থাকবেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জয়পাল রেড্ডি-সহ আরও কয়েক জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস সূত্রের খবর, গত কয়েক বছর ধরেই জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের মধ্যে শিশু-কিশোরদের জন্য একটি বিশেষ অধিবেশন করা হয়। যা শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেস হিসেবেই পরিচিত।
মহকুমা স্তর থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত প্রতি রাজ্য থেকে ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী ২ জন খুদে বিজ্ঞানীকে বেছে নেয় বিজ্ঞান কংগ্রেস। তা ছাড়াও, ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) পৃথক ভাবে ২৫ জনের নাম পাঠায়। বিজ্ঞান কংগ্রেসের পক্ষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বাসব চৌধুরী এ দিন বলেন, “এই বছর একশোরও বেশি শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করবে।”
বিজ্ঞান কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিশু-কিশোরদের বিজ্ঞানমনস্কতা ও জ্ঞানচর্চার সুযোগ করে দিতেই এই বিশেষ অধিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। শহরের এক গবেষকের দাবি, “ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীদের তৈরি করার জন্য স্কুল পড়ুয়াদের এই ধরনের সুযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।” সূত্রের খবর, বিজ্ঞান কংগ্রেসের শতবর্ষে শিশুদের অধিবেশনেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি থাকছে ক্যুইজ, বিজ্ঞানভিত্তিক কর্মশালা।
খুদে বিজ্ঞানীদের সামনে বক্তব্য রাখবেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরাও।
|
শহরের রাস্তায়। - নিজস্ব চিত্র |
কয়েক দিন ধরেই পারদের মুখ ছিল নীচের দিকে। শনিবার তা নামল অনেকটাই। এ দিন কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই চলতি মরসুমে শহরের শীতলতম দিন। শুক্রবার হাওয়া অফিস জানায়, বাংলাদেশ ও সন্নিহিত এলাকায় ঘূর্ণাবর্তের ফলে রাজ্যের পরিমণ্ডলের নীচের স্তরে জলীয় বাষ্প উপরের ঠান্ডা হাওয়ার সংস্পর্শে এসে সম্পৃক্ত হচ্ছিল। বিভিন্ন এলাকা ঢেকে যাচ্ছিল কুয়াশায়। শনিবার কুয়াশা না থাকায় শীতের দাপট বেড়েছে। |