মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন। সেই অনুযায়ী সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজকে রাজারহাটে প্রায় ১৭ একর জমি দিল সরকার। শনিবার বড়দিন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে এই সংক্রান্ত চিঠি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী, যাকে বড়দিনের উপহার হিসেবেই অভিহিত করেছেন কর্তৃপক্ষ।
বচরখানেক আগে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমির জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল সেন্ট জেভিয়ার্স। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তিনি আবার এ বছরের গোড়ায় সেন্ট জেভিয়ার্সের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কলেজের প্রাক্তনী সংসদের সদস্য হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাঁর ইচ্ছাকে মর্যাদা দিতে শনিবার মমতাকে সংসদের প্রথম সাম্মানিক সদস্যপদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বড়দিনের কেকও কাটেন মুখ্যমন্ত্রী। |
শ্রদ্ধায়: সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: সুদীপ আচার্য |
পরে কলেজের অধ্যক্ষ ফেলিক্স রাজ জানান, রাজারহাটে টাটা ক্যানসার রিসার্চ হাসপাতালের কাছাকাছি ১৬.৬৪ একর জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার।
বিগত বামফ্রন্ট সরকার ওই কলেজকে চার একর জমির দিতে চেয়েছিল। কিন্তু কলেজের প্রয়োজন তার থেকে অনেক বেশি হওয়ায় সেই জমি নেওয়া হয়নি বলে এ দিন জানান অধ্যক্ষ।
তিনি বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব ওই জমিতে ভবন তৈরির কাজ শুরু হবে। সেখানে ম্যানেজমেন্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণাও হবে সেখানে।” পার্ক স্ট্রিটে কলেজের মূল ক্যাম্পাস এবং রাজারহাটের এই নতুন ক্যাম্পাস ছাড়াও ইএম বাইপাসে কলেজের অন্য একটি ক্যাম্পাস রয়েছে। সেখানে একটি ‘কমিউনিকেশন হাব’ গড়া হবে বলে জানান অধ্যক্ষ।
সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সংখ্যালঘু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স।
মমতাও এ দিন বলেন, “এই কলেজ আরও বড় হোক। বড় বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক।” যদিও সেন্ট জেভিয়ার্স যে ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় হতে চায়, রাজ্যে তার নজির নেই। অধ্যক্ষ পরে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে একই সঙ্গে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সংখ্যালঘু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পাওয়া যায় না। তবে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। সপ্তাহ তিনেক বাদে সরকারের সঙ্গে ফের বৈঠক হবে। সেখানেই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে আশা করছি।”
|