বিজ্ঞপ্তিতে ভুল, ধরিয়ে দিল প্রতিবন্ধীদের মামলা |
রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য আসন সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থাই নেই। এই অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে নতুন জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।ব্লাইন্ড পার্সন্স অ্যাসোসিয়েশনের ৭৮ জন সদস্য বৃহস্পতিবারেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করে জানান, প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে দৃষ্টিহীনদের আবেদনের কথা উল্লেখই করা হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে দৃষ্টিহীনদের বঞ্চিত করা হয়েছে। সরকারি আইনজীবী ভুলের কথা স্বীকার করে ওই দিনই জানান, সংশোধন হচ্ছে। শুক্রবার শুনানির সময় আবেদনকারীদের আইনজীবী প্রতীক ধর গত বছর ১৮ জুলাই স্কুলশিক্ষা দফতর প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তি বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্তের জমা দেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ও আংশিক দৃষ্টিহীনদের নিয়োগ করা হবে না। প্রতীকবাবু বলেন, “কেন্দ্রীয় আইনে বলা আছে, সব সরকারি, আধা সরকারি, সরকার অধিগৃহীত সংস্থায় মোট পদের তিন শতাংশ প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। সেই তিন শতাংশের মধ্যে আবার এক শতাংশ পদ সংরক্ষিত থাকবে দৃষ্টিহীনদের জন্য।” আবেদনকারীদের আইনজীবী বলেন, রাজ্য দৃষ্টিহীনদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হবে না বলে যে-বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, তা কেন্দ্রীয় আইনের পরিপন্থী। সরকারি আইনজীবী বলেন, “সরকার ভুল সংশোধন করে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারির প্রক্রিয়া শুরু করেছে।” দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত বলেন, “রাজ্য সরকারের ওই বিজ্ঞপ্তি অসাংবিধানিক এবং অবৈধ। কেন্দ্রীয় আইনে যা বলা আছে, রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা বদল করতে পারে না।”
|
মমতার হয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল |
পশ্চিমবঙ্গের জন্য আর্থিক প্যাকেজ আদায়ের লক্ষ্যে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে দিল্লিতে দরবার করলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। শুক্রবার এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। আজ, শনিবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে বৈঠক করবেন নারায়ণন। চিদম্বরমের সঙ্গে বৈঠকের পর নারায়ণন বলেন, “আর্থিক সাহায্যের অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করছি, এর ফল মিলবে। এ সব বিষয় মিটতে সময় লাগে। সরকারি কাজকর্ম এই ভাবেই হয়। ধীরে ধীরে, কিন্তু সব দিক খতিয়ে দেখে।” মমতা যে ভাবে দিল্লি এসে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্যে বিনিয়োগ টানার চেষ্টা করেছেন, তারও প্রশংসা করেছেন রাজ্যপাল। বলেছেন, “এই ধরনের বৈঠক পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে মনোভাব বদলাতে সাহায্য করবে। মুখ্যমন্ত্রী আর কী করবেন! এ বার শিল্পমহলের এগিয়ে আসা উচিত।”
|
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। অথচ ব্যাঙ্ক থেকে চাহিদামতো কৃষিঋণ পাচ্ছেন না বহু কৃষক। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই শুক্রবার মহাকরণে সব জেলাশাসক ও ব্যাঙ্ককর্তাদের বৈঠকে ডাকেন। তিনি ব্যাঙ্ককর্তাদের জানিয়ে দেন, আরও বেশি কৃষক যাতে ঋণ পান, তার ব্যবস্থা করতে হবে। নজরদারির দায়িত্বে থাকছেন অর্থসচিব।
|
পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল সন্ত্রাস চালালে উপযুক্ত জবাবই দেওয়া হবে বলে বার্তা দিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। শুক্রবার বারুইপুরে সুজনবাবু বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে মহিলা সংরক্ষিত সব আসনেই প্রার্থী প্রস্তুত করেছি। একটি আসনের জন্য তিন জন মহিলা প্রস্তুত রয়েছেন। বিবেচনার পরে এক জনকে মনোনীত করা হবে।” |