|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
মূলানুগত্য বজায় থাকুক |
বইপোকা |
প্রায় তিয়াত্তর বৎসর ধরিয়া প্রকাশিত হইতেছে বিশ্বভারতী-র রবীন্দ্র-রচনাবলী। সম্প্রতি প্রকাশিত হইয়াছে দ্বাত্রিংশ খণ্ড। প্রকাশক জানাইতেছেন, ‘অনুমান করা যাইতেছে, আরো দুইটি খণ্ড প্রকাশিত হইলে এই সুদীর্ঘ প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হইল, বলা যাইতে পারিবে।’ রচনাবলির পূর্ব-খণ্ডগুলির প্রকাশের ধারাবাহিকতা বিচার করিলে অনুমান করিতে পারি, ওই দুইটি প্রকাশিত হইতে আরও দুই বৎসর লাগিবে। অর্থাৎ মোট পঁচাত্তর বৎসর। ইহা স্বাভাবিক। কারণ,
প্রথমত, রবীন্দ্রনাথ কত যে লিখিয়াছেন তাহার হিসাব এখনও অসম্পূর্ণ।
দ্বিতীয়ত, এই রচনাবলি সাধারণ পাঠকের জন্য নহে। ফলে মূলানুগত্যই ইহার প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত। পরিমাণ বিচার করিলে সহজেই অনুমেয় ওই কর্তব্য কী পরিমাণ সময় দাবি করে। তাই বিলম্বে ক্ষতি নাই। প্রক্রিয়াটি চলিলেই মঙ্গল। চলিতেছে, ইহা আশার কথা। কিন্তু সেই সঙ্গে ইহার সম্পাদকমণ্ডলীর নিকট দুই-একটি জিজ্ঞাসাও নিবেদন করা যাইতে পারে। যেমন, এই খণ্ডে ‘বঙ্গলক্ষ্মী’ পত্রিকার পৌষ ১৩৩২ সংখ্যার সেই পৃষ্ঠাটি ছাপা হইয়াছে যেখানে রবীন্দ্র-হস্তাক্ষরে ‘বঙ্গলক্ষ্মী’ কবিতাটি মুদ্রিত। পাশের পৃষ্ঠায় ছাপার হরফে কবিতাটি, নীচে সূত্রনির্দেশ, বঙ্গলক্ষ্মী, পৌষ ১৩৩২। অর্থাৎ, সরাসরি পত্রিকা হইতেই পাঠটি মুদ্রিত। যদি তাহাই হইবে তবে দুটি দাঁড়ির জায়গায় একটি দাঁড়ি, ‘দেহ’-র জায়গায় ‘দেহো’ কেন। ‘গ্রন্থপরিচয়’-এ এ সম্পর্কে কোনও বক্তব্য নাই। প্রমাদটি যৎকিঞ্চিৎ, কিন্তু প্রক্রিয়াটি অতি সুদীর্ঘ বলিয়াই ইহাও গণ্য। পরিবর্তনটি সচেতন হইলে বলা উচিত। যদি না হয় তবে বলিব সাত দশকেরও বেশি যে কাজ চলিতেছে তাহার একটি পৃষ্ঠার প্রুফ সংশোধন করিতে না হয় দুইটি ঘণ্টা লাগুক, তবু মূলানুগত্য অন্তত নিরানব্বই শতাংশ বজায় থাকুক। |
|
|
|
|
|