শরতে দুর্গাপুজোর প্রচলন এখানে নেই। শীতের ধান ঘরে উঠতেই প্রতি বছর পৌষ মাসে স্বরূপনগরের সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম ভাদুড়িয়া মেতে ওঠে কাত্যায়নী পুজোকে ঘিরে। ইতিমধ্যেই এই পুজো দেখতে গ্রামে মানুষের ঢল নেমেছে।
আজ, শনিবার দশমী। যদিও প্রতিমার বিসর্জন হবে দ্বাদশীর দিন। অর্থাৎ, উৎসব চলবে আরও দু’দিন। তার পরেও থাকবে মেলা। পুজো উপলক্ষ্যে নানা দোকানের পাশাপাশি বসেছে মেলা। নাগরদোলা, নাটক, যাত্রা, বাউলগান এবং লোকগীতি নিয়ে ভাদুড়িয়া রীতিমতো জমজমাট। |
পুজো এ বার ৫৯ বছরে পড়ল। গ্রামবাসীরা জানান, অনেক বছর আগে শরৎকালে এই গ্রামে দুর্গাপুজোই হত। কিন্তু একবার গোলমালে পুজো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। গ্রামবাসীরা দু’ভাগে ভাগ হয়ে যান। এক পক্ষ দুর্গাপুজো চালাতে থাকে, অন্য পক্ষ শুরু করে বাসন্তী পুজো। কিন্তু তাতেও বিবাদ থামেনি। এর পরেই গ্রামের প্রবীণ মানুষদের পরামর্শে পৌষে শুরু হয় অষ্টাদশভূজা কাত্যায়নী পুজো। বন্ধ হয়ে যায় দুর্গা বা বাসন্তী পুজো।
পুজোর সময় সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ মঙ্গল কামনায় নিজেদের বাড়ির সামনে বাঁশ পুঁতে তার মাথায় লন্ঠন জ্বালিয়ে রাখেন। পুজো কমিটির পক্ষে শুভেন্দু রায় বলেন, “জাঁকজমকের সঙ্গে ৫৯ বছর ধরে গ্রামে এই পুজো হচ্ছে। সব সম্প্রদায়ের মানুষ পুজোতে সামিল হন।” স্থানীয় ও বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে পুজো উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। প্রতিযোগিতামূলক যাত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সীমান্তরক্ষীরাও যুক্ত হন পুজোতে। ভাদুড়িয়ার মত কয়েক বছর ধরে কাত্যায়নী পুজো হচ্ছে আর এক সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম গলদাতেও। এখানেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা হয়। |