|
|
|
|
উড়ালপুল জুড়তে ব্যারাকপুরে আজ বাতিল বহু ট্রেন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ট্রেন বন্ধ করে উড়ালপুলের মাথার দু’টি অংশ জোড়া হচ্ছে। কিন্তু যানবাহন ওই উড়ালপুল থেকে নেমে কী ভাবে ঘুরে মূল রাস্তায় পড়বে, তা এখনও ঠিক হয়নি। কবে হবে, তা-ও কেউ জানে না।
ব্যারাকপুর ১৫ নম্বর গেটের উড়ালপুলের অবস্থাটা এখন এমনই। আজ, শনিবার রাত থেকে রেললাইনের উপরে ওই উড়ালপুলের দু’দিকের অংশ জুড়বেন রেলের ইঞ্জিনিয়ারেরা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী রেলের কাজটা শুধু লাইনের উপরের অংশ তৈরি করা। সেটাই করে দিচ্ছে তারা। আর ওই কাজের জন্য শনিবার রাত ১১টা থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় ১৬ ঘণ্টা ‘পাওয়ার ব্লক’ অর্থাৎ ওভারহেডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। প্রচুর লোকাল ট্রেন বাতিল হয়েছে। ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে দূরপাল্লার ট্রেনগুলিও।
জমি না-মেলায় উড়ালপুল থেকে নামার এক দিকের রাস্তাই এখনও ঠিক হয়নি। ফলে বারাসতের দিক থেকে ব্যারাকপুরে আসা গাড়িগুলি উড়ালপুল দিয়ে এসে কী ভাবে যাবে, তা এখনও ঠিক করতে পারেনি ব্যারাকপুর মহকুমা প্রশাসন। তবে মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “আপাতত ছোট গাড়ি চলবে। তবে লরি, বাস বা অন্য বড় গাড়ি চালানো যাবে না। আমরা জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা চালাচ্ছি। সেটা হলে আর অসুবিধা থাকবে না।” কিন্তু বড় গাড়িগুলিকে যে-ভাবে এখন আনন্দপুরী রোড ও কালিয়া নিবাসের ১৬ নম্বর রেলগেট দিয়ে আনা হচ্ছে, তাতে পুরসভার ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। ৬-৭ বছর ধরে ১৫ নম্বর রেলগেট বন্ধ থাকায় ১৪ ও ১৬ নম্বর রেলগেটের উপরে চাপ বেড়েছে। এমনিতে ১৪ নম্বর গেট দিনের বেশির ভাগ সময়ই বন্ধ থাকে। ফলে রাস্তায় সব সময়েই লেগে থাকে যানজট।
ওই উড়ালপুল তৈরি নিয়ে সমস্যা চলছে ৬-৭ বছর ধরে। প্রথমে সিপিএম নেতাদের নিজেদের মধ্যে কাজিয়া, তার পরে সেনাবাহিনীর আপত্তি এবং শেষে ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়া। তার পরেও থেকে গিয়েছে উড়ালপুল থেকে নেমে সংযোগকারী রাস্তার জন্য জমি অধিগ্রহণের সমস্যা। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে রাজ্যের যা মত, তাতে ওই রাস্তার জন্য জমি কী ভাবে মিলবে, তার ব্যাখ্যা দিতে পারেনি স্থানীয় মহকুমা প্রশাসন। ফলে উড়ালপুলের মাথা তৈরি হলেও ব্যারাকপুরবাসীর সমস্যা যে মিটবে না, এটা পরিষ্কার। পুর চেয়ারম্যান উত্তম দাস ও স্থানীয় বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত দু’জনেই অবশ্য সমস্যা মিটে যাবে বলে আশা করছেন। তাঁরা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে।” কী ভাবে? জবাব নেই।
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, শনিবার রাত থেকে ওই লাইনে নিত্যদিনের ট্রেনের মধ্যে মাত্র ৬৮টি লোকাল চালানো হবে। প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলবে আটটি। বাতিল ৫৩ জোড়া লোকাল। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যাবে বলে জানায় রেল। |
|
|
|
|
|