|
|
|
|
|
|
খেলা |
শুধুই প্রতিশ্রুতি |
চন্দন রুদ্র |
গ্রাম থেকে দল বেঁধে শহরে এসেছিল ওরা। উদ্দেশ্য গদাধর মিস্ত্রি লেনের বন্ধনী ব্যায়াম সমিতিতে আয়োজিত পাইকার জেলা পর্যায়ের কবাডিতে অংশগ্রহণ। হাওড়ার ব্লক পর্যায় থেকে উঠে আসা দলগুলির লড়াইয়ে এ বার বাজিমাত করল শ্যামপুর এক নম্বর ব্লক। মহিলা, পুরুষ দু’টি বিভাগেই সেরা হল পারমিতা মণ্ডল, ঝুমা মান্না, আদিত্য গিরি, অনুপম মণ্ডলরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘পঞ্চায়েত যুব ক্রীড়া আউর খেল অভিযান’ (পাইকা) চলে সারা দেশ জুড়ে। এই অভিযানে জেলা পর্যায়ে পাঁচটি, রাজ্য পর্যায়ে ১০টি এবং জাতীয় পর্যায়ে ২০টি খেলা নির্ধারিত হয়েছে। প্রকল্প অনুযায়ী গ্রামের অনূর্ধ্ব ১৬ বছরের ছেলে মেয়েদের নিয়ে তৈরি ব্লক পর্যায়ের সফল দলগুলি জেলা পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা পায়। জেলার সেরা দল খেলে রাজ্য স্তরে। বিভিন্ন ইভেন্টের রাজ্য সেরা দল জাতীয় পর্যায়ে খেলতে নামার সুযোগ পায়।
হাওড়া জেলা কবাডি সংস্থার সচিব স্বপন পাঁজা বললেন, “বন্ধনী ব্যায়াম সমিতিতে নিয়মিত কবাডি খেলা হয়। দু’টি কোর্ট রয়েছে। তাই এ মাঠ বেছে নেওয়া হয়েছিল। হাওড়া জেলা ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতর এবং হাওড়া জেলা পাইকা কমিটি আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় মেয়েদের পাঁচটি ও ছেলেদের সাতটি দল নামে।” |
|
প্রতিযোগীরা এসেছিল বাগনান, শ্যামপুর, আমতা, ডোমজুর এবং পাঁচলা থেকে। মেয়েদের ফাইনালে আমতা দুই নম্বর ব্লক দলকে হারিয়ে জেলার সেরা হয় শ্যামপুর এক নম্বর ব্লক। পুরুষ বিভাগের ফাইনালে বাগনান দুই ব্লক হেরে যায় শ্যামপুর একের কাছে। দু’টি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে খুশিতে মেতে ওঠে শ্যামপুরের প্রতিযোগীরা। চ্যাম্পিয়ন মহিলা দলের অধিনায়ক পারমিতা মণ্ডল গুজারপুর গার্লস হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বাবা একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করেন। পারমিতা বলল, “সুযোগের অভাব। পয়সার জন্য ভাল খেলার ড্রেসও কিনতে পারি না।” পুরুষ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক আদিত্য গিরির কথায়: “বহু সমস্যার মধ্যে আমরা মাঠে আসি। আগেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। কিন্তু আর্থিক সহায়তা কখনও পাইনি।”
“আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেলেও কিছুই মিলছে না। অথচ সবাই গরিব ঘরের। এর আগেও ওরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।”, বলছিলেন পারমিতা, ঝুমাদের কোচ তাপস প্রামাণিক। |
|
জেলা কবাডি সংস্থার কার্যকর সভাপতি নিমাই দত্তর কথায়: “প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ছেলেমেয়েরা খেলতে আসছে। অথচ ওদের জন্য দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করলেও সকালে কোনও টিফিনের ব্যবস্থা থাকছে না। আগামী বছর আয়োজকদের এ দিকটা দেখতে হবে।” জেলা পাইকা কমিটির কো-অর্ডিনেটর বিভাস হাজরার বক্তব্য, “আমরা সবে শুরু করেছি। প্রথম লক্ষ্য ছিল কবাডি-সহ, খো খো, অ্যাথলেটিক্স, ফুটবল এবং ভলিবল ম্যাচগুলি ঠিক ভাবে শেষ করা। সেটা আমরা পেরেছি। চ্যাম্পিয়ন দল আর্থিক পুরস্কার পাবে। আগামী বছর সমস্যা থাকবে না।”
|
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান |
হাওড়ার রামগোপাল মঞ্চে গত রবিবার ভারতীয় সংগীত অ্যাকাডেমি আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ৩০০ জন সঙ্গীত ও নৃত্যকলায় উত্তীর্ণদের শংসাপত্র দেওয়া হয়। সমবেত সঙ্গীত ও গণেশ বন্দনার নৃত্যের মাধ্যমে চলে অনুষ্ঠান। |
—নিজস্ব চিত্র |
|
|
|
|
|