|
|
|
|
|
|
|
আপনার সাহায্যে... |
|
|
মনের জোরে ক্যানসারও থমকে দাঁড়ায় |
যুবরাজ পেরেছেন, আপনিও পারবেন। সাহস জোগালেন ডা. চঞ্চল গোস্বামী। |
দিব্যি ঘুরছি ফিরছি, দুম করে জানা গেল ক্যানসার। ইদানীং তো অনেক সেলিব্রিটিরও ক্যানসার শোনা যাচ্ছে।
উ: হ্যাঁ, এখন তাই তো হচ্ছে। তবে সব ক্যানসার খারাপ নয়। নির্ভর করছে ক্যানসারের ধরন আর কোন স্টেজে ধরা পড়ল তার ওপর।
ক্যানসার সামলে কয়েক মাসের মধ্যে ব্যাট হাতে নেমে পড়লেন যুবরাজ। অভাবনীয় নয়?
উ: অভাবনীয় কিছু নয়। মনের জোর থাকলে আপনিও পারবেন।
মনের জোর থাকলেই ফিরে আসা যাবে?
উ: লড়াইটা সহজ হবে। তার ওপর ফিরে আসাটা অনেকখানি নির্ভর করছে।
তা জোরটা আনব কী করে?
উ: পুরোটাই ব্যক্তিবিশেষের ওপর নির্ভর করে। দেখুন, কেউ একটুতেই কাতর, আবার কেউ বিশাল ধাক্কাও সহজে সামলে নেন। আপনার কাছের মানুষের ওপরও মনের জোরটা নির্ভর করছে। তবে সব থেকে ভাল হয় নিজের ওপর ভরসা রাখাটা।
|
যোগাযোগ-
৯০৩৮১ ৫১০১৭ |
কী ভাবে ভরসা রাখব?
উ: ক্যানসার শুনলে অনেকে অনেক ধরনের উপদেশ দেন। অমুকের ক্যানসার হয়েছিল, বাঁচেনি, সার্জারিতে কিছু হয় না, কেমোথেরাপি দিলে অমুক হয় এ ধরনের কথাবার্তা যাঁরা বলেন তাঁদের এড়িয়ে চলুন। ডাক্তারও অনেক সময় ভয় পাইয়ে দেন। যা মনের জোর তলানিতে নিয়ে আসে।
তবে?
উ: অন্যের কথা না শুনে নিজেই নিজেকে কাউন্সেলিং করুন। অনেক ক্যানসার সাপোর্ট স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। ভুলভাল ভেবে বসে থাকবেন না। প্রথমত অসুখটা সম্বন্ধে জানুন। প্রয়োজনে নেটে পড়াশুনো করুন। কোনও প্রশ্ন থাকলে আপনার ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করুন। তিনি কী বলছেন বোঝার চেষ্টা করুন। এতে মনের জোর বাড়ে।
ডাক্তারদের অত সময় কোথায়?
উ: না, ভুল ধারণা। আপনার মনের উদ্বেলতা ডাক্তারই বুঝিয়ে দেবেন। না বোঝালে অন্য ডাক্তার দেখান। মোট কথা ধোঁয়াশা নিয়ে মনে মনে জল্পনাকল্পনা করবেন না। আর প্রথমেই ভেবে বসবেন না সব শেষ।
মনের জোরটা কি এই অসুখের জন্য খুব দরকার?
উ: যে কোনও অসুখের জন্যই প্রয়োজন। হার্ট অ্যাটাক হলেও মনের জোর দরকার। আর অনেক দিন এক টানা চিকিৎসা আর ফলোআপ করে যেতে হয়, তাই ক্যানসারে মনের জোর হারানো চলবে না।
কিন্তু ক্যানসার হাসপাতালে গেলেই তো হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়।
উ: যদি বলি কিচ্ছু হয়নি, তুমি বিন্দাস আছ, চিন্তা নেই, সেটা কি ঠিক? এতে রোগী নিশ্চিন্তে থাকলেও ভেতরে ভেতরে রোগটা গাঢ় হতে থাকবে। বরং হাসপাতালগুলোতে এলে রোগীর মনে থাকবে, রোগটির সঙ্গে লড়াই করতে তাঁকে নিয়মিত ফলোআপ করে যেতে হবে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তো শুনি রোগ ধরা পড়েছে অ্যাডভান্স স্টেজে।
উ: ক্যানসারের আর দোষ কী! নিজেরা সতর্ক না হয়েই তো বিপদটা বাঁধান।
কী করে বুঝব ভেতরে ভেতরে ক্যানসার বাসা বাঁধছে? কিছুই তো আগে থেকে বোঝার উপায় থাকে না?
উ: আসলে আপনারা মনে করেন ক্যানসারের একটি টিপিক্যাল সিম্পটম থাকবে। তা কিন্তু নয়। ক্যানসারের লক্ষণগুলি খুব সাধারণ। সর্দি, কাশি, জ্বর, গলাব্যথার মতো ক্যানসারের কতগুলি সাধারণ লক্ষণ রয়েছে। সে গুলি বুঝতে পারলে ক্যানসারকে অনেক আগেই চিহ্নিত করা যায়। প্রথম স্টেজেই ধরা পড়ে। চিকিৎসা করতে সুবিধে হয়।
এগুলি তো আকছারই হচ্ছে। উদাহরণ দিয়ে বলি, একটু জোরে চ্যাঁচালেই তো গলা ভেঙে যায়। তার জন্যও ডাক্তার দেখাতে হবে?
উ: জোরে চ্যাঁচানোর জন্য গলা ভাঙলে গার্গল করলেই কমে যাবে। কিন্তু দিনের পর দিন গলা ভাঙা থাকলে সেটা ফেলে না রেখে ডাক্তারের কাছে যান।
মোটামুটি কত দিন?
উ: পনেরো দিন থেকে এক মাসের মধ্যে যদি না কমে, ফেলে রাখবেন না।
ইদানিং শুনছি, ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি তেমন জরুরি নয়?
উ: সেটা কী ধরনের ক্যানসার তার ওপর নির্ভর করে। ওটা চিকিৎসকের ওপরই ছেড়ে দিন।
|
সাত লক্ষণ! সাবধান |
• ঘুসঘুসে জ্বর, যা সারছে না।
• খুসখুসে কাশি, যা কমছে না।
• কোথাও আলসার বা ঘা তৈরি হলে। যেমন ধরুন জিভের ঘা কিছুতেই সারছে না।
• অকারণে শরীরের কোনও অংশ থেকে রক্তক্ষরণ। সেটা মাড়ি, রেক্টাম বা ভ্যাজাইনা যা কিছু হতে পারে।
• শরীরের কোনও অংশে টিউমার বা কোথাও লাম্প তৈরি হওয়া। বিশেষত ব্রেস্টে।
• পুরোনো তিল বা আঁচিল হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করা।
• গলা ভেঙে যাওয়া, যা গার্গল করে বা ওষুধ খেয়েও কমছে না। |
|
সাক্ষাৎকার: রুমি গঙ্গোপাধ্যায় |
|
|
|
|
|