|
|
|
|
নেতা তুলে ধরে লড়ার দাবি কংগ্রেসেও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
গুজরাত জয়ের হ্যাটট্রিক করার পরে নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা এখন সর্বত্র। যদিও কংগ্রেসের একাধিক নেতার ব্যাখ্যা, নিজেদের শাসনে থাকা রাজ্যগুলিতে এক-এক জন নেতাকে তুলে ধরলেও কেন্দ্রে তা করা বিজেপির পক্ষে কঠিন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিব্বলের কটাক্ষ, “বিজেপি কেন্দ্রে মাল্টিব্র্যান্ড পার্টি!” প্রকাশ্যে যা-ই বলুন, ঘরোয়া আলোচনায় সিব্বল-সহ কংগ্রেসের বহু নেতা মানছেন, রাজ্যস্তরে যে ভাবে ‘সিঙ্গল ব্র্যান্ড’ প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয়েছে বিজেপি, তার তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে কংগ্রেস। এবং গুজরাতে বারবার কংগ্রেসের হারের জবাবও যেন নিহিত রয়েছে হিমাচলে দলের জয়ের মধ্যে। তাঁদের মতে, পাঁচ বারের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের হাতে ভোটের যাবতীয় দায়িত্ব হাইকম্যান্ড ছেড়ে না দিলে হিমাচলেও জয় সম্ভব ছিল না।
আঞ্চলিক নেতৃত্বের হাতে কর্তৃত্ব ছেড়ে দিলে বা ভোটের আগে থেকেই কাউকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরলে যে ভালো ফল করা যায়, সে শিক্ষা অবশ্য আগেই পেয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু বাস্তবে সেই লক্ষ্যে পা ফেলেনি দল। তবে গুজরাত ও হিমাচলে ভোটের ফল প্রকাশের পর এখন এ ব্যাপারে দাবি জোরদার হচ্ছে। কংগ্রেস শীর্ষ নেতাদের একাংশ জানাচ্ছেন, জানুয়ারি মাসে চিন্তন শিবিরে এ ব্যাপারে আলোচনার মাধ্যমে নীতি নির্ধারণের দাবি জানানো হবে। তাঁদের প্রশ্ন, রাহুল গাঁধীকে যদি এখন থেকেই নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্বের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে দল রাজনৈতিক বার্তা দিতে পারে, তা হলে রাজ্যস্তরে তা হবে না কেন?
কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, হিমাচল মডেলই রাজ্যে রাজ্যে প্রয়োগ করা উচিত হাইকম্যান্ডের। কাউকে শুধু নেতা হিসেবে তুলে ধরা নয়, দলেরই অন্য কেউ যাতে তাঁকে পিছন থেকে টেনে না ধরেন, তা-ও সুনিশ্চিত করতে হবে। আগামী বছর কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, ওড়িশা-সহ দশ রাজ্যে নির্বাচন। কিন্তু কর্নাটকে কংগ্রেসের একাধিক নেতা। তাঁদের অনেকের মুখ দেখাদেখিও প্রায় বন্ধ। সেই অন্তর্দ্বন্দ্ব কাটিয়ে কোনও এক জনকে সামগ্রিক দায়িত্ব দেওয়া নেওয়া নিয়ে এখনও টালবাহানা করছে দল। মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ়েও একই পরিস্থিতি। অথচ মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো কোনও তরুণ নেতা বা ছত্তীসগঢ়ে অজিত যোগীকে আগে থেকে নেতা হিসেবে তুলে ধরলে কংগ্রেস ভালো ফল করতে পারে বলে মনে করছেন দলেরই অনেকে। রাহুল-ঘনিষ্ঠ এক নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসে আগাম নেতা বা মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করার রীতি নেই ঠিকই। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি বুঝে সেই পথ
ছাড়তে চান রাহুলও। তাই পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে গিয়ে রাহুল শেষ মুহূর্তে ঘোষণা করেছিলেন, কংগ্রেস জিতলে অমরেন্দ্র সিংহই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। |
|
|
|
|
|