|
|
|
|
সিআরপি-র ডিজির কথায় অস্বস্তিতে কংগ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
কিছু দিন আগেও তিনি ছিলেন ত্রিপুরা পুলিশের ডিজি। পদোন্নতি হয়ে এখন তিনি সিআরপিএফের ডিজি হয়েছেন। এই নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রণয় সহায়ের এটাই ছিল প্রথম ত্রিপুরা সফর। আর প্রথম সফরেই রাজ্যের ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট সরকারকে তিনি দরাজ সার্টিফিকেট দেওয়ায় বিধানসভা ভোটের আগে অস্বস্তিতে পড়েছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস।
সম্প্রতি সহায় সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রসবাদ দমনে সারা দেশে ত্রিপুরা মডেল। কেন্দ্র ত্রিপুরার কর্মসূচিকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে ধরে সারা দেশে তা ব্যবহার করছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব সহায়ের এই মন্তব্যকে খারিজ করে বলছেন, সহায় নিজের পিঠ চাপড়াচ্ছেন। বাম সরকারেরও পিঠ চাপড়াচ্ছেন। এতদিন বামফ্রন্ট সরকারের ‘চাকরি’ করেছেন। এটা পারস্পরিক পিঠ চাপড়ানি।
তবে কংগ্রেস নেতৃত্ব যাই বলুন না কেন, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ একটি আধা-সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্তা যখন রাজ্যের সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে এমন ‘সার্টিফিকেট’ দেন তখন কংগ্রেসের পক্ষে তা নিঃসন্দেহে যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ। বামফ্রন্টের প্রধান নির্বাচনী হাতিয়ার হল ‘শান্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ত্রিপুরা’-র স্লোগান। এই পরিস্থিতিতে সিআরপিএফের ডিজি-র বক্তব্য ফ্রন্টের দাবিকে জোরদার করবে। নির্বাচনী প্রচারে বামফ্রন্ট এই ‘সার্টিফিকেট’-কে যে ঢালাও ব্যবহার করবে সে বিষয়েও নিশ্চিত বিরোধী শিবির। কংগ্রেস বিধায়ক তথা ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা আশিস সাহার বক্তব্য, “প্রণয় সহায় যা বলেছেন আমরা তার সঙ্গে একমত নই। ত্রিপুরাকে কেন্দ্র ‘রোল মডেল’ করেছে বলেও আমরা মনে করি না।” আশিসবাবুর বক্তব্য, “ত্রিপুরার ৭০টি থানার মধ্যে ৪০টি এখনও সন্ত্রকবলিত এলাকা। গণ্ডাছড়া, লং তরাই ভ্যালি, কাঞ্চনপুর প্রভৃতি এলাকায় প্রতিদিন সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের খবর আসছে। এই পরিস্থিতিতে সিআরপিএফের মতো একটি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মহানির্দেশক এমন কথা কী করে বললেন।” |
|
|
|
|
|