|
|
|
|
পুর-বাজেট নিয়ে প্রশ্ন উঠল দলেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
পুরসভার সংশোধিত বাজেটে ‘স্বচ্ছতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠল খোদ শাসকদলের মধ্যেই। শুক্রবার বিধাননগরের ঘটনা।
এ দিন বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলরদের বৈঠকে ২০১২-১৩ আর্থিক বছরের সংশোধিত বাজেট পেশ করা হয়। পুরসভা সূত্রে খবর, ওই বাজেটে আয় ও ব্যয় খাতে ২০১১-এর বিধাননগর মেলা সম্পর্কিত তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ভাইস চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। বাজেটে ওই তথ্য যুক্ত করা হবে বলে শাসক দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সংশোধিত বাজেট অবশ্য সর্বসম্মতিতেই পাশ হয়েছে বলে
দাবি করেছেন পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
বিধাননগর মেলা (২০১১) থেকে ১ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আয় হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন পুর-কর্তৃপক্ষ। তার থেকে লক্ষাধিক টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হয়েছিল এবং লক্ষাধিক টাকা রবীন্দ্র মূর্তি তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। মেলা বাবদ ওই আয়ের প্রাপ্ত সুদের টাকারও উল্লেখ নেই বাজেটে। সেই হিসেব কেন দেখানো হল না? সে প্রশ্নই তোলেন সব্যসাচীবাবু।
এ প্রসঙ্গে বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “আমরা প্রতিটি বিষয়ে স্বচ্ছ। আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, বিধাননগর মেলা বাবদ প্রাপ্ত আয় রবীন্দ্র ভবন তৈরিতে ব্যয় করা হবে। তাই পৃথক একটি অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র ওই আয় বাবদ সুদের টাকা কেন দেখানো হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তা দেখিয়ে দেওয়া হবে। সকলেরই সম্মতিতে কিন্তু বাজেট পাশ হয়েছে।” যদিও পৃথক অ্যাকাউন্টের হিসেবও স্বচ্ছতার কারণেই বাজেটে দেখানো
প্রয়োজন বলে মনে করেন কাউন্সিলরদের একাংশ।
পুরসভার বৈঠকে প্রশ্ন যাঁদের তোলার কথা সেই বিরোধী দলের পক্ষে দলনেত্রী সিপিএমের ইলা নন্দী বলেন, “সব্যসাচীবাবুই এই প্রশ্ন তুলেছেন। শাসক দল ওই ভুল সংশোধন করবে বলেছে। ফলে এর পরে আর কী বলব?” যদিও এ প্রসঙ্গে সব্যসাচীবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এ দিকে, সম্পত্তি কর বাবদ আয় কমে যাওয়ায় একাধিক প্রকল্প স্থগিত রাখা হচ্ছে বলে জানান পুর-কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, অন্যান্য খাত বাবদ আয় বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি। সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট চালু হলে সম্পত্তি কর বাবদ আয় বাড়বে। সমস্যাও অনেকটা মিটবে বলেই পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি। |
|
|
|
|
|