|
|
|
|
|
বিশ্ব বাজারের বিরূপ
প্রভাবে নামল সূচক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
ভারতের অর্থনীতি শেয়ার বাজারের অনুকূল হলেও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নানা আর্থিক ও রাজনৈতিক সমস্যার জের বাজার চাঙ্গা হওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবারও সেনসেক্স পড়েছে প্রায় ২১২ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক ছিল ১৯,২৪২ অঙ্কে।
সম্প্রতি খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির প্রস্তাব ও ব্যাঙ্কিং সংস্কার বিল পাশ হয়েছে সংসদে। মূল্যবৃদ্ধিও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। অন্য সময়ে এগুলি সূচককে ঠেলে তুলত উপরের দিকে। বিশেষজ্ঞরা তেমনই আশা করেছিলেন। কিন্তু তাতে জল ঢেলেছে ইউরোপের আর্থিক ও আমেরিকার রাজনৈতিক সমস্যা। ইউরোপ পড়েছে ফের মন্দার কবলে। অন্য দিকে আমেরিকায় কর বাড়াতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রস্তাব বাতিল হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসে। আরও কিছু আর্থিক সমস্যা রয়েছে সেখানে। যার জের পড়েছে এশিয়া-সহ বিশ্বের বাজারগুলির উপর। রেহাই পায়নি ভারতও।
দেশের বাজার চাঙ্গা হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরাও। প্রবীণ বাজার বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলেন, “বিশ্বায়নের ফলে বর্তমানে যা অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তাতে শুধু ভারতের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলেই চলবে না। চাই আমেরিকা এবং ইউরোপের উন্নতি।”
কিন্তু কেন? ভারতের রফতানি বাণিজ্য-সহ অনেক কিছুই বিশ্ব বাজারের উপর নির্ভরশীল। যেমন তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প। বিদেশি সংস্থার কাজের বরাত দেশে এই শিল্পে রমরমা এনেছে। তাই বিদেশের আর্থিক হাল খারাপ হলে তার বিরূপ প্রভাব পড়ে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উপর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সবেরই প্রভাবে তেমন চাঙ্গা হচ্ছে না বাজার।
ভারতীয় লগ্নিকারীদের বিনিয়োগে ভাটা পড়লেও দেশের বাজারে কিন্তু বিদেশি লগ্নিকারীরা টানা শেয়ার কিনে চলেছে। মূলত তাদের লগ্নির জন্যই সূচক ১৯ হাজারের ঘরে ফের ঢুকে পড়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেই। অজিতবাবু বলেন, “আমেরিকা-ইউরোপের অবস্থা যত খারাপ হবে, বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি তত বেশি ভারতের দিকে ঝুঁকবে। কারণ, বাজার খারাপ হলেও এখানে লগ্নি করেই কিছুটা মুনাফার সুযোগ আছে। আর সেটাই কাজে লাগাচ্ছে তারা।” |
|
|
|
|
|