দলীয় নীতির বাইরে গিয়ে কথা বলা ঠেকাতে সিপিএম নেতা রেজ্জাক মোল্লার সঙ্গে আলোচনা করবেন দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু।
মঙ্গলবার সংখ্যালঘু দিবসের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে রেজ্জাক সরকারি পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণের কথা বলেন। সপা ইতিমধ্যেই এই দাবি তুলেছে। কিন্তু এ নিয়ে সিপিএম কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়নি। মঙ্গলবার ইউডিএফ নেতা সিদ্দিকুল্লার সঙ্গেও বৈঠক করেন রেজ্জাক। এই দু’টি ঘটনা নিয়ে সিপিএমে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই ভাবে দলের নীতির বাইরে গিয়ে রেজ্জাকের নানা কথা ও কাজ বন্ধ করতে চান দলীয় নেতৃত্ব। তবে বৃহস্পতিবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে রেজ্জাক প্রসঙ্গে কথা হয়নি। বিমানবাবু জানান, রেজ্জাকের সঙ্গে ফের কথা বলবেন।
রেজ্জাকের অবশ্য দাবি, তিনি দল-বিরোধী কিছু করেননি। তাঁর কথায়, “মুসলিমরা তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। তাদের সিপিএমের দিকে টানতে সচেষ্ট হয়েছি।” রেজ্জাকের আরও দাবি, তিনি সিদ্দিকুল্লার সঙ্গে গোপন বৈঠকে যাননি। আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু দিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পরে এক আয়োজক নিজের বাড়িতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে সিদ্দিকুল্লাও ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই দু’জনের মধ্যে কথা হয়। রেজ্জাকের মতে, “সামাজিক সম্পর্ক রক্ষার জন্য কারও বাড়ি যেতে দলের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ নিয়ে কেউ কিছু জানতেও চায়নি।” মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁদের উদ্দেশে রেজ্জাক বলেন, “সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে কী করে দলের গণভিত্তি বাড়াতে হয়, ওঁরা তা জানেন না।”
এর আগেও একাধিক বার রেজ্জাকের সঙ্গে কথা বলেছেন বিমানবাবু। তাঁকে সতর্কও করা হয়। কিন্তু রেজ্জাকের মুখ বন্ধ করা যায়নি। দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে তুলতে তৎপর রেজ্জাক। তিনি এ দিন ক্যানিংয়ে সিপিএম নেতা মোশারফ খানের স্মরণসভায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুণ্ডামির অভিযোগ তুলে রেজ্জাক বলেন, “মোশারফ খানকে তৃণমূল গুপ্তহত্যা করেছে।” |