রেল মন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দোপাধ্যায় গনিখান চৌধুরীর সেই স্বপ্নের রেল পার্ক সংস্কার করে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। রেলমন্ত্রীর নির্দেশে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে মালদহ রেল ডিভিশন পার্কের আগাছা পরিস্কার করে, রং করে, লোহার গেট লাগিয়ে, কংক্রিটের রাস্তা তৈরি করে, দামি দামি গাছ লাগিয়ে পার্ক সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু সে কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গনি খান চৌধুরীর সেই স্বপ্নের রেল পার্ক ফের জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। আর কাজ বন্ধ হতেই কয়েক লক্ষ টাকার দামী গাছ পার্ক থেকে উধাও হয়েছে। পার্কে সীমান প্রাচীরের পলস্তারা খসে খসে পড়তে শুরু করেছে। অথচ রেল কর্তাদের হেলদোল নেই। যদিও মালদহ রেল ডিভিশনের ডিআরএম রবীন্দ্র গুপ্ত বলেন, “আমাদের টাকার অভাব নেই। টেকনিক্যাল কারণে মালদহ রেল পার্কের সংস্কারের কাজ বন্ধ। |
পার্ক নিয়ে নতুন চিন্তাভাবনা আছে। কোন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে পার্কের দায়িত্ব দেওয়া যায় সেটাও দেখা হচ্ছে।” এদিকে রেল পার্ক সংস্কারের কাজ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুরু করার পরেও তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জেলার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরীকে দুষেছেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তিনি বলেন, “মন্ত্রী থাকাকালীন মমতাদির নির্দেশে রেল সংস্কার কাজ শুরু করেছিল। মমতাদি আর এখন রেল দফতরের মন্ত্রী নন, রেলমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করার পরই রেলের কর্তারা পার্কের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এখন তো জেলায় কেন্দ্রের মন্ত্রী আছেন। তিনি কি করছেন? কেন তিনি গনি খানের স্বপ্নের পার্ককে সাজাচ্ছেন না? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী জানান, তিনি দাদার ‘স্বপ্নের পার্ক’কে সাজতে রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর দ্বারস্থ হন। মালদহ টাউন স্টেশন লাগোয়া এলাকায় বিশাল মজা জলাশয় ছিল। ১৯৮২ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ১২ ডিসেম্বর গনিখান চৌধুরী ওই মজে যাওয়া জলাশয় বুজিয়ে সেখানে পার্কের শিলান্যাস করেছিলেন। তার পর এক বছরের মধ্যে পার্কের কাজ শেষ হয়ে যায়। পার্ক গড়ে উঠতেই মালদহের ঝলঝলিয়ার চেহারা বদলে যায়। ৬০ ফুটের ফোয়ারা, পাহাড়ের ঝর্না, পাতাল রেস্তোরাঁ, আলোর টানে প্রতিদিন শহরের মানুষ রেল পার্কে ভিড় জমাতেন। গনি খানের রেল মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার পর থেকেই রেল পার্ক জৌলুস হারায়। অভিযোগ, আবর্জনা বোঝাই রেল পার্কে রাত নামলেই বসে নানা নেশার আসর। |