শিশুমিত্র
আমরা কি কখনও খুঁজি শিশুদের মনের হদিস? কী ভাবে ওরা মিতালি খোঁজে ওদের মনের? আমাদের বেঁধে দেওয়া সিলেবাস কি পারে ওদের বন্ধু হতে? পড়া পড়া খেলা কিংবা খেলা খেলা পড়ায় কি আমরা গুঁজে দিতে পেরেছি ওদের মনের রসদআনন্দ পাঠ। কেউ পারে তা। আর তা পারে তাদের সবুজ মনের কর্মকুশলতায়। তারাই হয় শিশুমিত্র। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের দুর্লভপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং তপন ব্লকের বালাপুর সংলগ্ন চেঁচাই প্রাথমিক বিদ্যালয় এমনই দুটি বিদ্যালয়। সম্প্রতি কলকাতা টাউন হলে এই দুটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজ্য সরকারের তরফে পুরস্কৃত হলেন। শ্রেণিকক্ষ থেকে যেহেতু শুরু হয় প্রথাভিত্তিক পাঠ তাই তাকে আনন্দগানে ভরিয়ে তোলাই হয় প্রথম লক্ষ্য। তাই তো বুলবুল, সানাই, দোলনচাঁপা এবং বলাকা হয় শ্রেণিকক্ষের নতুন পরিচয়। পাখপাখালি, গাছগাছালিতে মিশে থাকে শিশুদের খেলার ছলে মেতে ওঠা শৈশব। ঈশপের গল্প, জাতকের গল্প, ফুল, পাখি, বর্ণমালা, প্রকৃতির পাঠ, মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশ প্রতিনিয়ত আঁকিবুকি কাটে ওদের মননে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের চোখ রাঙানির পরেও শিশুরা থেকে যেতে চায় ওদের আনন্দ পাঠশালায়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় নির্মল বিদ্যালয়ের খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, শৌচালয়, পানীয় জল, পরিচ্ছন্নতার প্রাথমিক অভ্যাস ও শিশু সংসদের প্রয়োজনীয় পাঠ। জেলার ১৭টি সার্কেলের ১১৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অগ্রগামী পথিক দুটি বিদ্যালয়এখান থেকেই পথ চলা হয় শুরু। যে পথ চলা স্বপ্ন দেখায়, স্বপ্ন জাগায় অমল-সুধা-অরুণ-বরুণ-কিরণমালার মনে। ওদের কল্পজগৎকে উস্কে পুঁতে দেয় ভবিষ্যৎ ‘সৃজন’-এর বীজ। যারা এক দিন ডানা মেলবে সুনীল আকাশে। মৃণাল চক্রবর্তী, পবিত্র মোহান্ত, মনোজ মীর-রা হয়ে ওঠে ‘জীবন’ গড়ার ব্রতে প্রধান কান্ডারি।

লেখা ও ছবি: তুহিনশুভ্র মণ্ডল।

‘দিশার আড্ডা’
সম্প্রতি এক শীতসন্ধ্যায় মালবাজার আর আর স্কুলের হলঘরে হল ‘দিশার আড্ডা’। ‘বর্তমান সময়ে সমাজে কবিতা-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা’কে সামনে রেখে মত বিনিময় করলেন অরূপবরণ চট্টোপাধ্যায়, তপতী সাহা, নকুল বোস, সত্যেন্দ্রনাথ দাস, সুধাংশু বিশ্বাস, সাধন দাশগুপ্ত, প্রিয়াঙ্কা সরকাররা। শুরুতে তাঁরা মালবাজারের বিশিষ্ট লেখক প্রিয়তোষ পণ্ডিত, কবি সমীরণ ঘোষ, নাট্যকার বিকাশ চৌধুরী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও পণ্ডিত রবিশঙ্করের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে ও নীরবতা পালনে স্মরণ করেন। আড্ডাতে ছিল স্বরচিত কবিতা ও মৌলিক গল্পপাঠ। বাদ গেল না রম্যরচনা পাঠও। বড়দের সঙ্গে আড্ডায় মজেছিল শিশু-কিশোররাও। আড্ডার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছিল নবীন কবি সৌম্যব্রত চৌধুরীর কবিতা পাঠ। আসর জমেছিল তেল-মুড়ি-চানাচুর আর গরম চা-এ। আয়োজক দিশা কালচারাল এন্ড সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন। তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গসাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করানোও আড্ডার উদ্দেশ্য বলে জানালেন সংস্থার সম্পাদক সমীররঞ্জন চৌধুরী।

লেখা ও ছবি: অনিতা দত্ত।

শ্রদ্ধাঞ্জলি
কোচবিহার জেলার ইতিহাসে অঙ্গাঙ্গি জড়িয়ে মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের নাম। কোচ রাজবংশের ১৯তম এই শাসককে আজকের কোচবিহারের রূপকার বলা হয়। শিক্ষা সমাজ সংস্কৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই জেলায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। রেলপথ স্থাপনের পাশাপাশি তাঁর আমলে কয়েকটি জনহিতকর আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। তাঁর কর্মকাণ্ড কোচবিহার ছাড়িয়ে কলকাতা-সহ বৃহত্তর বঙ্গ সমাজে বিস্তার লাভ করে। এই বছর মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের জন্ম সার্ধশতবর্ষ। এ উপলক্ষে কোচবিহারের উত্তর প্রসঙ্গ পত্রিকা শ্রদ্ধাঞ্জলি স্বরূপ একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করল। সংখ্যাটিতে স্থান পেয়েছে সতেরোটি প্রবন্ধ। সব ক’টিই নৃপেন্দ্রনারায়ণের বিভিন্ন সামাজিক অবদান সম্পর্কিত। পাঠক প্রবন্ধগুলি থেকে কোচবিহারের বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। সম্প্রতি কুমার গজেন্দ্রনারায়ণ প্রতিষ্ঠিত মন্দির প্রাঙ্গণে গ্রন্থটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন ড. আনন্দগোপাল ঘোষ। উত্তর প্রসঙ্গ পত্রিকার এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে পাঠককে সমৃদ্ধ করবে।

লেখা ও ছবি: সুদীপ দত্ত।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.