দিঘা, দার্জিলিংয়ের মতো পরিচিত পর্যটন কেন্দ্র তো রয়েছেই। পাশাপাশি এ বার রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় শিল্প ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় পর্যটন দফতর।
কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সাহায্যে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় গ্রামীণ পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক স্তরে তৎপরতাও শুরু হয়েছে। প্রতিটি ব্লকের সম্ভাবনাময় স্থান চিহ্নিত করে প্রকল্প জমা দেওয়ার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে সমস্ত ব্লক প্রশাসনকে। পূর্ব মেদিনীপুরেও গ্রামীণ পর্যটনকেন্দ্র গড়ার বিষয়ে প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক হয়েছে। আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি ব্লকের উন্নয়ন আধিকারিকদের গ্রামীণ পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার স্থান চিহ্নিত করে পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে, সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ অথবা ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প সামগ্রী তৈরি হয় এমন এক বা একাধিক গ্রামকেই বেছে নেওয়া হবে গ্রামীণ পর্যটন-গুচ্ছ (রুরাল টুরিজম ক্লাস্টার) হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। যেমন, যে সমস্ত এলাকার মাটির জিনিস, কাঁসা-পেতলের জিনিস, তাঁতশিল্প বা ঐতিহ্যবাহী ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য সুনাম রয়েছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকার সঙ্গে সেগুলির যোগ রয়েছে, সেখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এই সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের থাকার সুব্যবস্থার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের তৈরি শিল্পসামগ্রী প্রদর্শন ও কেনার ব্যবস্থাও করা হবে। অতিথি নিবাস, স্থানীয় হস্তশিল্পীদের প্রশিক্ষণ ও বিক্রয়কেন্দ্রের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ও এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণে আর্থিক সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য স্থানীয় ভাবে ৫-৭ একর সরকারি জমি চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে ব্লক প্রশাসনকে।
পর্যটন দফতর সূত্রে খবর, বহুল পরিচিত পর্যটনকেন্দ্রগুলির বাইরে এই গ্রামীণ পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে তুলে ধরার অন্যতম লক্ষ্য স্থানীয় হস্ত শিল্প, কুটির শিল্পের সঙ্গে পরিচিতি ও তা বিক্রির মাধ্যমে গ্রামবাংলার সামগ্রিক উন্নয়ন। |