রুপোলি পর্দায় এটাই প্রথম বার নয়। এর আগেও দু’বার ‘পিরিয়ড পিসে’ বড় পর্দা মাতিয়েছেন তিনি। কিন্তু এ বারের গুরুত্বটাই তো আলাদা। স্বয়ং কবিগুরুর ‘ছোট বৌঠান’ কাদম্বরী দেবীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাইমা সেন। ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত সেই তথ্য-কাহিনিচিত্র মুক্তির আগে তাই যেন কিছুটা বেশিই উদ্বিগ্ন তিনি। আশঙ্কা, দর্শকরা ওই চরিত্রে তাঁকে ভাল ভাবে নেবেন তো? |
তবে উদ্বেগ, আশঙ্কা, চিন্তা এ সব বাদ দিয়েও একটা বিষয় কিন্তু কোনও রকম রাখঢাক না করেই স্বীকার করে নিচ্ছেন রাইমা। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট ভাষায় জানাচ্ছেন, জনগণ তাঁকে গ্রহণ করুন বা না-ই করুন, কাদম্বরী দেবীর চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছেন তিনি। জেনেছেন, ঠিক কেমন ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কাছের মানুষটি। তাঁর চলন, বলন, পোশাক-পরিচ্ছদ, ভাষা, ভাবনা সব কিছুর সঙ্গেই ওঠাবসা করতে হয়েছে রাইমাকে। কবিগুরুর জীবনের এ হেন গুরুত্বপূর্ণ মানুষটিকে এত কাছ থেকে জানতে পেরে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত সুচিত্রা সেনের নাতনি। বলেই ফেলছেন, “এই রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অনেক দিন কাজ করিনি। ” তার পরেই অবশ্য সাবধানী মন্তব্য, “আশা করি ঋতুদা যা চেয়েছিল আমি তাই করতে পেরেছি।”
ইতিহাস বলছে, কবিগুরুর বিয়ের অল্প পরেই আত্মহত্যা করেন কাদম্বরী দেবী। মৃত্যুর কারণ অবশ্য আজও অজানা। কিন্তু গোটা বিশ্ব জানে, বৌদির মৃত্যুর পরেই চরম শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই বৌদির চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে রাইমার আশঙ্কা কিংবা উদ্বেগ থাকাটাই স্বাভাবিক এমনটাই মনে করছেন দর্শকদের একাংশ। সেই চরিত্র কেমন লাগে তাঁদের, এখন সেটাই দেখার। |