প্রেমের সম্পর্ক থাকার পরেও প্রেমিকের বাড়ির লোক জন বিয়ে দিতে অরাজি হওয়াতেই আত্মহত্যা করেছে মেয়ে-মঙ্গলবার মন্তেশ্বর পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ করলেন মৃতা প্রতিমা ওঁরাওয়ের (১৬) বাবা সাগর ওঁরাও। অভিযোগের ভিত্তিতে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে কর্ণ ওঁরাও নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে মন্তেশ্বর পুলিশ।
রবিবার মন্তেশ্বরের মামুদ ২ পঞ্চায়েতের গোয়ালডাঙা গ্রামের মাঠে মাটির তলা থেকে প্রতিমার দেহ উদ্ধার করেছিল মন্তেশ্বর পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, তার বাড়ি স্থানীয় সুটরা গ্রামে। স্থানীয় উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর বাবা পুলিশের কাছে দাবি করেন, বহরমপুরের যুবক কর্ণের মামারবাড়ি তাঁদের গ্রামে। সেই সূত্রেই তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর মেয়ের। কিন্তু কর্ণের বাড়ির লোক জন এই বিয়েতে রাজি ছিলেন না। তার জেরেই আত্মহত্যা করেছে প্রতিমা। তাঁর দাবি, পুলিশি ঝামেলা এড়াতে কয়েক জনের পরামর্শে স্থানীয় ওই মাঠটিতেই মেয়ের দেহ পুঁতে দিয়েছিলেন তাঁরা।
মঙ্গলবার ওই স্কুলছাত্রীর বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, সপ্তাহখানেক আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল প্রতিমা। পরের দিন নিজেই ফিরে আসে সে। বাড়িতেও সম্পর্কের কথা জানায়। সেই মতো বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে কর্ণের মামা দুলাল ওঁরাওয়ের কাছে যান সাগরবাবু। গত বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদে কর্ণের বাড়িতেও যান তাঁরা। কিন্তু কর্ণের পরিবার এই বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। পরের দিন, শুক্রবার বাড়িতেই প্রতিমার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। সাগরবাবু জানান, ঘটনার সময়ে তাঁর স্ত্রী সাথীদেবী মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন। ছোট মেয়ে বাইরে পড়তে গিয়েছিল। সাগরবাবুর দাবি, সম্ভবত বৃহস্পতিবারই টেলিফোনে কর্ণের কাছ থেকে প্রতিমা বিয়ের প্রস্তাব নাকচ হয়ে যাওয়ার কথা জানতে পেরেছিল।
রবিবার মৃতদেহ উদ্ধারের পর পরের দিনই মৃতদেহটি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পরে দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই বিষয়টির সঠিক তদন্ত সম্ভব। |