|
|
|
|
|
ধোনি ফেল আমিরও |
রাস্তাঘাটে গরু। সর্বত্র দুর্নীতি।
চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু।
ভারত সম্পর্কে এই তিনটি জিনিস যেন সর্বজনীন সত্য। গত কয়েক বছরে লিস্টে যোগ হয়েছিল আরও দুটি ঘটনা। আমির খান-এর ছবি মাত্রই সুপারহিট। আর দেশের মাটিতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অপরাজেয় তকমা। হ্যাঁ, দেশের মাটিতে ভারতীয় বাঘরা মাঝেমধ্যে ধরাশায়ী হয়েছে। আমির খানও ‘আওয়াল নাম্বার’ জাতীয় ভুল করেছিলেন। কিন্তু চোখ বন্ধ করে এগুলোই ছিল ‘ধ্রুব সত্য’।
তাই ২০১২-র ডিসেম্বরে যখন পৃথিবী ধ্বংসের আশঙ্কা প্রবল, এমন সময় এই দুই উদ্ধারকর্তার আবির্ভাব পৃথিবী শান্ত করতে। এক দিকে রানি অন্য দিকে করিনাকে নিয়ে আমির হাজির হলেন ‘তালাশ’ নিয়ে। আর ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা ভারতে এলেন ভারতীয় বাঘদের হাতে বধ হতে। এই যেন ছিল অশান্ত পৃথিবীর কাছে শান্তির বাণী। |
|
সবাই ভেবেছিলেন আমিরের ‘তালাশ’ একশো নয়, বক্স-অফিসে জাদু দেখাবে পাঁচশো কোটি টাকার। আর ধোনির ভারত তো কুকের ইংল্যান্ডকে ৪-০ স্কোরলাইনে গো-হারান হারাবে। প্ল্যান সেই মতোই এগোচ্ছিল। ‘অল ওয়াজ ওয়েল’।
আমদাবাদে ইংল্যান্ডকে নাস্তানাবুদ করে হারাল ধোনিবাহিনী। আমিরও টি-টোয়েন্টির মতোই শুরু করেছিলেন ‘তালাশ’-এর ইনিংস। পৃথিবীতে ধ্রুব সত্য ঠিক পথেই এগোচ্ছিল। কিন্তু আজকে, পৃথিবী ধ্বংসের দু’দিন আগে ধুলোয় লুটাচ্ছে ধোনি আর আমিরের মুকুট।
‘সত্যমেব জয়তে’-তে সবাইকে কাঁদানোর পর এই প্রথম নিজে কাঁদতে বসেছেন আমির। আর ভারতীয় ক্রিকেট সম্পর্কে কী বলব! নিজেদের মধ্যে বেচারিরা ঝগড়া করে তার কড়া মূল্য চোকাচ্ছে। তাদের পৃথিবী আজকে প্রায় ধ্বংসের মুখে।
তা, পরশু দিন কি পৃথিবী শেষ হয়ে যাচ্ছে? ধুর, ধর্মের কল যে বাতাসে নড়ে। এখনও তো অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পরের বছরের ‘বদলা’-র সিরিজ বাকি। তার স্কোর এখনই বলে দিচ্ছি ৪-০। এটাই বাজারের চলতি জোক। ভারত নাকি সেটাতেও জিতবে। |
|
|
|
|
|