২২ ঘণ্টা পর ‘স্ক্রুটিনি’-র আশ্বাসে উঠল ঘেরাও |
শিক্ষিকাদের মতে তারা অকৃতকার্য। খাতাও একই কথা বলছে। কিন্তু সেই ‘অকৃতকার্য’রাই এ বার পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষিকাদের আটকে রাখল সারা রাত। কাল বিকেলের থেকে প্রায় বাইশ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও মেলেনি ‘সমাধান সূত্র’।
ঘটনাটি খোদ কলকাতা শহরের। সন্তোষপুর ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যাপীঠের ২৯ জন ছাত্রী উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েও পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবিতে প্রায় ২২ ঘণ্টা ধরে ঘেরাও করে রেখেছিল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা-সহ অন্যান্য শিক্ষিকাদের। ছাত্রীদের দাবি ছিল, শুধুমাত্র প্রগতিপত্র নয়, তাদের পরীক্ষার খাতাও দেখাতে হবে। সেই দাবি মানতে চাননি শিক্ষিকারা। ফলে গতকাল বিকেলে স্কুলে প্রথমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ‘ফেল’ করা ছাত্রীরা। পরে বিক্ষোভ থেকে ঘেরাও — পরিস্থিতি কার্যত জটিল হতে শুরু করে। শিক্ষিকাদের রাতের খাবারও দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সকালে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশের সৌজন্যে সামান্য কিছু প্রাতরাশ শিক্ষিকাদের পাঠানো গিয়েছিল। স্কুল চত্বরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। বালিকা বিদ্যালয় হওয়ায় ছিল মহিলা পুলিশও। ঘটনাস্থলে একজন ডাক্তার-সহ ছিল একটি অ্যাম্বুলেন্সও।
ছাত্রীদের এমন আচরণে রীতিমতো বিস্মিত শিক্ষামহল। তবে এত কিছুর পরও স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানশিক্ষিকা শ্রীমতি ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘যাঁরা শিক্ষা সচেতন মানুষ, আশা করি তাঁরা এই ধরনের অন্যায় মেনে নেবেন না।’’ তাঁর মতে, এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই। শিক্ষাক্ষেত্রে সৌজন্যবোধের বিষয়ে কোনও আপস করা হবে না। যারা অকৃতকার্য হয়েছে তাদের প্রাপ্ত নম্বর খুবই কম। ফলে পাশ করানোর কোনও প্রশ্ন নেই। বিষয়টি সমাধানের জন্য রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ স্কুলে পৌঁছান উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব এবং উপসচিব।
প্রধান শিক্ষিকা ও অন্যান্য শিক্ষিকাদের সঙ্গে সচিব এবং উপসচিবের এ বিষয় নিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ আলোচনা হয়। সমস্ত ছাত্রীদের খাতা নতুন করে দেখা হবে, এই আশ্বাসে বিক্ষোভরত ছাত্রীরা ঘেরাও তুলে নেয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, খাতা পুনরায় দেখার পর শিক্ষা সংসদ যে সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেবে ছাত্রীরা।
|
২২ ঘণ্টা পর ‘স্ক্রুটিনি’-র আশ্বাসে উঠল ঘেরাও |
শিক্ষিকাদের মতে তারা অকৃতকার্য। খাতাও একই কথা বলছে। কিন্তু সেই ‘অকৃতকার্য’রাই এ বার পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষিকাদের আটকে রাখল সারা রাত। কাল বিকেলের থেকে প্রায় বাইশ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও মেলেনি ‘সমাধান সূত্র’।
ঘটনাটি খোদ কলকাতা শহরের। সন্তোষপুর ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যাপীঠের ২৯ জন ছাত্রী উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েও পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবিতে প্রায় ২২ ঘণ্টা ধরে ঘেরাও করে রেখেছিল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা-সহ অন্যান্য শিক্ষিকাদের। ছাত্রীদের দাবি ছিল, শুধুমাত্র প্রগতিপত্র নয়, তাদের পরীক্ষার খাতাও দেখাতে হবে। সেই দাবি মানতে চাননি শিক্ষিকারা। ফলে গতকাল বিকেলে স্কুলে প্রথমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ‘ফেল’ করা ছাত্রীরা। পরে বিক্ষোভ থেকে ঘেরাও — পরিস্থিতি কার্যত জটিল হতে শুরু করে। শিক্ষিকাদের রাতের খাবারও দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সকালে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশের সৌজন্যে সামান্য কিছু প্রাতরাশ শিক্ষিকাদের পাঠানো গিয়েছিল। স্কুল চত্বরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। বালিকা বিদ্যালয় হওয়ায় ছিল মহিলা পুলিশও। ঘটনাস্থলে একজন ডাক্তার-সহ ছিল একটি অ্যাম্বুলেন্সও।
ছাত্রীদের এমন আচরণে রীতিমতো বিস্মিত শিক্ষামহল। তবে এত কিছুর পরও স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানশিক্ষিকা শ্রীমতি ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘যাঁরা শিক্ষা সচেতন মানুষ, আশা করি তাঁরা এই ধরনের অন্যায় মেনে নেবেন না।’’ তাঁর মতে, এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই। শিক্ষাক্ষেত্রে সৌজন্যবোধের বিষয়ে কোনও আপস করা হবে না। যারা অকৃতকার্য হয়েছে তাদের প্রাপ্ত নম্বর খুবই কম। ফলে পাশ করানোর কোনও প্রশ্ন নেই। বিষয়টি সমাধানের জন্য রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ স্কুলে পৌঁছান উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব এবং উপসচিব।
প্রধান শিক্ষিকা ও অন্যান্য শিক্ষিকাদের সঙ্গে সচিব এবং উপসচিবের এ বিষয় নিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ আলোচনা হয়। সমস্ত ছাত্রীদের খাতা নতুন করে দেখা হবে, এই আশ্বাসে বিক্ষোভরত ছাত্রীরা ঘেরাও তুলে নেয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, খাতা পুনরায় দেখার পর শিক্ষা সংসদ যে সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেবে ছাত্রীরা। |