ডাক পাননি কংগ্রেসের বিধায়ক, প্রধান
বিক্ষোভের মুখে রাজ্যের দুই মন্ত্রী
স্থানীয় বিধায়ক ও প্রধানকে সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকেরা রাজ্যের দুই মন্ত্রী গৌতম দেব এবং সাবিত্রী মিত্রের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের সরাতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। এমনকী, ওই ঘটনার সময় কংগ্রেস এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে অল্পবিস্তর ধস্তাধস্তিও হয়।
রবিবার দুপুরে মালদহ থানার পোপড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নারায়ণপুর-রানিগঞ্জ রাজ্য সড়কে ঘটনাটি ঘটে। দুই মন্ত্রীর গাড়ি আটকে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের খবর পৌঁছতেই ইংরেজবাজার, গাজল, হবিবপুর ও পুলিশ লাইন থেকে বিশাল বাহিনীকে পোপড়ায় পাঠানো হয়। জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “দুই মন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভের খবর পাওয়ার পরেই প্রচুর পুলিশ ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।”
মালদহের পোপড়া প্রাথমিক স্কুলের সামনে নারায়ণপুর-রানিগঞ্জ রাজ্য
সড়কে কংগ্রেসের বিক্ষোভ। রবিবার ছবিটি তুলেছেন মনোজ মুখোপাধ্যায়।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব এ দিন বলেন, “আমিও কংগ্রেস করেছি। কংগ্রেসের এই অবস্থা দেখে দুঃখ হচ্ছে। আমি বরকতদাকে শ্রদ্ধা করি। সেই বরকতদার দলের কর্মীদের দেখে মনে হচ্ছে বানরের হাতে তলোয়ার দেওয়া হয়েছে।” এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক ও পঞ্চায়েত প্রধানকে আমন্ত্রণ না জানানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কে বিধায়ক আমি জানি না। এখানে যাঁদের ডাকার দরকার ছিল তাঁদের সবাইকে ডাকা হয়েছে।” আর নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “আমরা ভোট চাইতে আসিনি। আমরা এখানে কাজ করতে চাইছি। কংগ্রেস উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছে। এখানে এসে তাই দেখলাম।”
এ দিন সকালে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে মন্ত্রী গৌতমবাবু প্রায় ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকায় নারায়ণপুর থেকে রানিগঞ্জ পর্যন্ত ১৮ কিমি পাকা রাস্তার কাজের সূচনা করতে যান। ওই প্রাথমিক স্কুলের সামনে মন্ত্রীদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। কংগ্রেস কর্মীরা হাতে কালো পতাকা নিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দিতে থাকেন। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ কর্মীরা পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে তৃণমূলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামলে মন্ত্রীদের গাড়িকে রওনা করে দেয়।
ঘটনায় দলের কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী। তিনি জানান, স্থানীয় বিধায়ক রাস্তার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করল অথচ রাজনীতির জন্যই বিধায়ক ও পঞ্চায়েত প্রধানকে অনুষ্ঠানে ডাকা হল না। এতে ক্ষোভ থাকাটা স্বাভাবিক। মন্ত্রীদের বিক্ষোভ দেখিয়ে কর্মীরা অন্যায় করেনি। পুরাতন মালদহের কংগ্রেস বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমার বিধানসভা এলাকায় সরকারি অনুষ্ঠান হচ্ছে অথচ আমাকেই জানানো হয়নি। তাই কর্মীরা দুই মন্ত্রীকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.