আমাদের চিঠি
 
বিপজ্জনক সেতু, নজর দেয় না প্রশাসন
ভাঙা সেতু দিয়ে এমন ভাবেই চলছে যাতায়াত।—নিজস্ব চিত্র।
কাঠের জীর্ণ সেতু, বহুদিন সংস্কার হয়নি। সেতুর একপ্রান্ত নাকাশিপাড়ার শেষগ্রাম গাছা বেজপাড়া এবং অপর প্রান্ত ধুবুলিয়া ব্লকের অন্তর্গত কামারহাটি কলোনি। বেজপাড়া ও কামারহাটি কলোনির হাজার পাঁচেক মানুষ ছাড়াও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও লালগোলা শাখার মুড়াগাছা স্টেশনের মধ্যে সংযোগকারী একমাত্র সহজ রাস্তা হিসেবে অনেকেই এই বিপজ্জনক ভাঙা সেতু ব্যবহার করেন। কামারহাটিতে একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকায় গাছা, ছাতনি প্রভৃতি এলাকার কয়েকশো ছাত্রছাত্রী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও প্রাণ হাতে জীর্ণ এই কাঠের সেতু পেরোতে হয়। সেতুটি ভ্যান-রিকশা চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় তিন কিলোমিটার দূরের ধুবুলিয়া বাজার বা হাসপাতালে যেতে এলাকাবাসীদের ৭-৮ কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হয়। বহুবার ব্লকস্তরে, জেলাপরিষদ এবং প্রশাসনের সকলকে জানানো সত্ত্বেও কাজ হয়নি। তাই আবার প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, কাঠের বদলে সেতুটি কংক্রিটের করা হলে এলাকাবাসীর খুবই উপকার হবে। আশা করি এলাকাবাসীর সুবিধার্থে প্রশাসন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।


রাতে কাজ, মান নিয়ে সংশয়
সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী বাজারে মাইক প্রচারে শুনলাম১০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর সন্ধে ৭টা থেকে রাত ২টো পর্যন্ত বাসন্তীর চৌমাথা থেকে গোসাবার অপর পার গদখালি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত হবে। ওই সময়ে ওই রাস্তায় যানবাহন চালানো যাবে না। এটা সকলেই জানেন, অধিকাংশ ঠিকাদার বাজেট অনুযায়ী কাজ করেন না। দিনের বেলায় কাজ করার সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিম্নমানের জিনিস ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। কাজের বাজেট, জিনিসের মান, কাজের প্রকৃতি বা সিডিউল সম্পর্কে জনসাধারণকে আঁধারে রেখে ঠিকাদারগণ কাজ করে যান। এর পর রাতে যদি যানবাহন বন্ধ করে কাজ হয়, জনসাধারণ এই কাজের জিনিসপত্র সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে যাবেন। সুতরাং অভিযোগের জায়গা নেই। সরকারি ইঞ্জিনিয়াররা নিশ্চয় রাত দুটো পর্যন্ত কাজের তদারকি করবেন না। তাই রাতের বেলায় কাজে নিম্নমানের জিনিসপত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা অধিক। তা ছাড়া এমনিতেই এই রাস্তায় সন্ধ্যার পর পর যানবাহন প্রায় থাকেই না। দু’একটা চললেও তাতে রাস্তা মেরামতিতে অসুবিধা না-হওয়ার কথা। বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


বাগনানে বাসস্ট্যান্ড প্রয়োজন
বাগনান দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথের একটি জনবহুল স্টেশন। হাওড়া-মেদিনীপুর শাখার প্রায় সমস্ত লোকাল ট্রেন থেকেই এই স্টেশনে প্রচুর যাত্রী নামা-ওঠা করেন। ১৯৮৬ সালের ১২ জুলাই বাগনানে নতুন বাসস্ট্যান্ডের সূচনা হয়। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল বাসস্ট্যান্ডের পরিকাঠামো নিয়ে। তারপর কেটে গিয়েছে পঁচিশটা বছর। গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে বহুগুণ। দূরপাল্লার বাসের আনাগোনাও বেড়েছে বাগনানে। বিভিন্ন গাড়িতে বাগনান বাসস্ট্যান্ড এখন জমজমাট। অফিস টাইমে একটা গাড়ি ঢুকে আবার বেরোতেই সময় লেগে যায় আধ ঘণ্টার উপর। ফলে অসুবিধায় পড়ছেন যাত্রীরা। বাসস্ট্যান্ডে হাঁটাচলাও এখন বিপজ্জনক। তার উপর বাসস্ট্যান্ডে উন্নত মানের যাত্রী প্রতীক্ষালয়, পানীয় জল ও শৌচাগারেরও ব্যবস্থা নেই। বৃষ্টি হলে জলকাদায় বাসস্ট্যান্ডের অবস্থা হয় আরও করুণ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.