স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্টে প্রকাশ |
চলতি বছরে রাজ্যে মাওবাদী হানার বলি শূন্য |
চলতি বছরে মাওবাদী সন্ত্রাসে কোনও প্রাণহানি ঘটেনি পশ্চিমবঙ্গে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক রিপোর্টে এই কথা জানানো হয়েছে। গত দু’বছরের তুলনায় এ বছর সারা দেশেই মাওবাদী হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-এর ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মাওবাদী হানায় নিহত হয়েছেন ২৮৭ জন সাধারণ নাগরিক ও ১১৩ জন নিরাপত্তা রক্ষী। ২০১০ ও ২০১১-এ এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৬১১ ও ১০০৫।
দু’বছর আগেই পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদী হিংসায় নিহতের সংখ্যা ছিল ২৫৮। গত বছর তা কমেছিল বেশ খানিকটা। ২০১১ সালে মাওবাদী হানায় পশ্চিমবঙ্গে নিহত হন ৪৩ জন সাধারণ মানুষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর দুই কর্মী। কিন্তু এই বছর পশ্চিমবঙ্গের কোথাও মাওবাদী হানা প্রাণ কাড়েনি কারোর।
দেশের নানা প্রান্তে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত মাওবাদীর সংখ্যাও এ বছর কমে দাঁড়িয়েছে ৬৫। ২০১০-এ নিহত হয়েছিলেন ১৬৬ জন মাওবাদী। পরের বছর তা কমে হয় ৯৬।
তবে এ বছর ঝাড়খণ্ডের ছবিটা অন্যান্য রাজ্যের মতো এতটাও ভালো নয়। ২০১২ সালে সেখানে নিহত হয়েছেন ১৩০ জন নিরীহ নাগরিক। মারা গিয়েছেন ২৯ জন রক্ষীও। ২০১০ ও ১১ তেও প্রাণহানির সংখ্যা ছিল এরই আশপাশে। ছত্তীশগঢ়েও চলতি বছরে নিহতের সংখ্যা কমেছে কিছুটা। লক্ষ্যণীয় ভাবে, ২০১২ সালে স্কুলে হামলার ঘটনা ঘটেনি একটিও। তবে এ বছর হামলার মুখে পড়েছে একটি পঞ্চায়েত ভবন ও সাতটি মোবাইল টাওয়ার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে, এই পরিবর্তনের পিছনে রয়েছে সরকারের দ্বিমুখী নীতি, এক দিকে নিরাপত্তা জোরদার করা, পাশাপাশি উন্নয়নের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। নিরাপত্তার
ক্ষেত্রে সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সঙ্গেই জোর দেওয়া হয়েছে রাজ্যের নিরাপত্তার পরিকাঠামো উন্নয়নে। নজর দেওয়া হয়েছে রাজ্যে পুলিশের শক্তি বাড়ানোর দিকে। তেমনই বাড়ানো হয়েছে এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণও।
অন্য দিকে, মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার উন্নয়নেও বিশেষ নজর দিয়েছে। রাস্তাঘাট তৈরি থেকে শুরু করে একাধিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আর এতেই মিলেছে সাফল্য, মনে করছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা। |
রামকৃষ্ণ মিশনের বার্ষিক সাধারণ সভা |
২০১১-১২ সালে রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচিতে মোট ৪ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছে, যার দ্বারা উপকৃত হয়েছেন ১৬৫৮টি গ্রামের ১ লক্ষ ২৭ হাজার পরিবারের ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার মানুষ। রবিবার বিকেলে বেলুড় মঠে রামকৃষ্ণ মিশনের ১০৩তম বার্ষিক সাধারণ সভার পরে এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুহিতানন্দ। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রী, দুঃস্থ, অসুস্থ ও বৃদ্ধদের মিলিয়ে প্রায় ৫৫ লক্ষ ৮৮ হাজার জনের সাহায্যার্থে ২৭ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা, হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্র ও ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাকেন্দ্রে রোগীদের চিকিৎসায় মোট ১১৯ কোটি ৮৭ লক্ষ, শিশুবিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত শিক্ষাখাতে ২২০ কোটি ৪২ লক্ষ এবং গ্রামীণ ও উপজাতি উন্নয়নের কর্মসূচিতে ৩৭ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। এ বছর শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মোৎসব পালিত হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে দেশ-বিদেশে নানা প্রদর্শনী ও অনুষ্ঠানও হয়। বিবেকানন্দের উপরে চেন্নাই মঠে প্রথম থ্রি-ডি চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং মালয়েশিয়া কেন্দ্রের চেষ্টায় একটি ডাকটিকিটও প্রকাশ হয়। |