চিনা পণ্যের দাপট ঝাড়খণ্ডের বাজার জুড়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
চিনা আসবাব জামশেদপুরের দোকানে। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী |
দাদার পকেট থেকে বৌদির রান্নাঘরঝাড়খণ্ডের প্রাত্যহিক জীবনে হইহই করে ঢুকে পড়েছে চিন। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে চিনা-পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার দাপটে মার খাচ্ছে দেশি পণ্যের বাজার। তুলনায় দামে সস্তা এবং পণ্যের ফিনিশিং-এর সৌন্দর্য চিনা পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির মূল কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। চা-কফি খাওয়া এবং পরিবেশনের সময় দীর্ঘকাল ধরেই জনপ্রিয় চিনা মাটির কাপ-প্লেট। টি-সেটের হাত ধরে ধীরে ধীরে বাজারে এসেছে হরেক রকমের চিনা পণ্য। কয়েক দশক আগেও রাঁচি, জামশেদপুর, ধানবাদ কিংবা বোকারোর শহরতলির বাজারে চিনের উপস্থিতি ছিল মূলত খেলনা, পুতুল, টি-সেট, ইলেক্ট্র্রনিক ঘড়ি আর গ্যাস-লাইটারের মতো ছোটখাটো সরঞ্জামের মধ্যে। কিন্তু গত বছর সাতেক ধরে ঘর-সাজানোর জিনিসপত্র থেকে নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী এমনকী, আসবাবপত্রের বাজারেও ঝাড়খণ্ডে চিনের দাপট ক্রমবর্ধমান।
|
রতন টাটার মুখে বাংলার কথা
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আজকের সাক্ষাৎকারে রতন টাটা পূর্ব ভারতের সঙ্গে তাঁর আত্মিক যোগাযোগের কথা জানিয়েছেন। প্রথম জীবনে ছ’বছর জামশেদপুরে কাটিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় প্রায়ই কলকাতায় আসতেন তিনি। এ ভাবেই তাঁর সঙ্গে এই শহরের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁর কথায়, “বাঙালিরা খুব ভাল মানুষ। যদিও বাংলা বলতে পারি না। দেশের এই অংশ উন্নতির দিক থেকে বাকিদের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে। তাই পূর্ব ভারত ও কলকাতার জন্য কিছু করতে পারাটা তাঁর কাছে আনন্দের।” রাজারহাটে ক্যানসার হাসপাতাল গড়ে তোলাটাও এই একই উদ্দেশ্যে বলে তিনি জানিয়েছেন।
|
টেলি সংস্থাগুলির পছন্দে নেই ভারত, দাবি জিএসএমএ-র
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
বাজার বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভারত এখন আর আন্তর্জাতিক টেলিকম সংস্থাগুলির পছন্দের গন্তব্য নয়। জানিয়েছে সারা বিশ্বের জিএসএম সংস্থাগুলির সংগঠন জিএসএম অ্যাসোসিয়েশন (জি এস এম এ)। সংগঠনের ডিরেক্টর জেনারেল অ্যান বৌভেরটের মতে, সারা বিশ্বে টেলি শিল্পে লগ্নির জোয়ার এসেছে। কিন্তু এখন আর তার মুখ ভারতের দিকে নেই। এর জন্য স্পেকট্রাম বাতিল-সহ নানা ঘটনায় প্রশাসনের উপর থেকে আস্থা হারানো, বিধি-নিয়মের অনিশ্চয়তা ও অর্থনৈতিক শ্লথতাকেই দায়ী বলে মনে করেন তিনি। যার প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেন নভেম্বরের টু-জি স্পেকট্রাম নিলামে প্রত্যাশার তুলনায় কম সাড়া পাওয়ার বিষয়টি। তাঁর আশা, পরিস্থিতি শোধরালে ফের ওই সমস্ত লগ্নি ফিরবে এ দেশে।
|
কালো টাকা নিয়ন্ত্রণে বিল আনার প্রস্তাব সুইস সরকারের
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি ও বার্ন |
ভারত-সহ গোটা বিশ্বের সমালোচনা থেকে বাঁচতে শেষ পর্যন্ত কালো টাকা নিয়ন্ত্রণে আইন আনার পথে হাঁটতে চায় স্যুইৎজারল্যান্ড সরকার। তাই সে দেশের ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে গ্রাহকের বেআইনি সম্পদ সঞ্চয় আটকাতে নতুন বিল আনার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। সরকারের তরফে স্যুইৎজারল্যান্ডের ফেডারেল কাউন্সিল ২০১৩-র গোড়াতেই এ সংক্রান্ত খসড়া জমা দিতে বলেছে সে দেশের অর্থ মন্ত্রককে। সুইস সরকার চায়, কালো টাকার নিরাপদ আশ্রয় হওয়ার বদনাম ঘোচাতে নয়া বিলে কর আইন বা কালো টাকা প্রতিরোধ আইন তৈরির মতো বিষয়গুলি তো থাকবেই। সেই সঙ্গে গ্রাহকদের সম্পর্কে খোঁজখবর রাখার বিষয়টিতে ব্যাঙ্কগুলিকে আরও কড়া হতে বাধ্য করার জন্য থাকবে বিশেষ কিছু আইনি পদ্ধতিও।
|
জিএমআরের দাবি
সংবাদসংস্থা • মালে |
মালে বিমানবন্দর ছাড়ার ক্ষতিপূরণ হিসেবে মলদ্বীপ সরকারের থেকে ৮০ কোটি ডলারের বেশি ক্ষতিপূরণ দাবি করল জিএমআর। ভারতীয় সংস্থাটির দাবি, এত দিন ধরে বিমানবন্দর চালানোর বিভিন্ন খরচ এবং যে লাভ তারা করতে পারত, সেই অঙ্ক মিলিয়েই এই হিসাব দাঁড়িয়েছে। যদিও তা উড়িয়ে মলদ্বীপের পাল্টা দাবি, এই অঙ্ক ১৫-৩৫ কোটি ডলারের বেশি হতে পারে না। সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অডিট সংস্থাকে দিয়ে এই বিষয়ে তদন্তের দাবিও তুলেছে তারা। এতে অবশ্য রাজি জিএমআর। |