তাঁদের প্রার্থীদের ঢুকতে না দেওয়া ও কারচুপি ঠেকাতে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ তুলে গুসকরার সুশীলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি ভোট বয়কট করল সিপিএম। রবিবার দুপুরে এই স্কুলের ভোট বয়কট করে সিপিএমের প্রার্থীরা শহর জুড়ে মিছিল করেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রার্থীদের কাউকে স্কুলে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। এমনকী, ভোট শুরু হয় সিল খোলা ব্যালট বাক্স নিয়ে। তাঁদের এজেন্টরা প্রতিবাদ করায় এক জনকে মারধরও করা হয়। |
সিপিএমের অভিযোগ, বহিরাগত লোকজন নিয়ে এ দিন স্কুলে হাজির ছিলেন গুসকরার পুরপ্রধান চঞ্চল গড়াই। ভোট দিতে গিয়ে অনেকে জানতে পারেন, তাঁদের ভোট পড়ে গিয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে প্রদীপ মাঝি নামে এক ভোটারকে চঞ্চলবাবুর লোকজন মারধর করে। পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম কাউন্সিলর মনোজ সাউকেও নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। সিপিএম নেতাদের দাবি, এ ব্যাপারে অভিযোগ করা হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়া তো দূর, ঘটনাস্থল থেকেই সরে যায়। প্রিসাইডিং অফিসার তথা স্কুলের শিক্ষককে লিখিত অভিযোগ দিলেও তিনি সেটির প্রাপ্তি স্বীকার করতে চাননি। তাই তাঁরা ভোট বয়কট করেন বলে সিপিএম নেতৃত্বের দাবি। দলের গুসকরা শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক অচিন্ত্য মজুমদারের বক্তব্য, “সারা রাজ্যে তৃণমূল যে ভাবে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করছে, সে ভাবেই এ দিন স্কুলে ভোট করতে দেয়নি। মানুষই ভবিষ্যতে এর জবাব দেবেন।”
গুসকরার পুরপ্রধান চঞ্চলবাবুর অবশ্য দাবি, “আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না। আমাদের কেউ কাউকে কাউকে মারধর করেনি। করলে তো আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হত। হেরে যাওয়ার ভয়ে সিপিএম মিথ্যা অভিযোগ করছে।” গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ জানায়, শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হচ্ছিল। হঠাৎ সিপিএমের লোকজন এসে চার-পাঁচ জনের ভোট দানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসার তাতে কর্ণপাত করেননি। |