|
|
|
|
বাবা জ্ঞান দিয়ো না |
খেলা খেলা যন্ত্র
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর শট বাঁচাচ্ছেন। আবার আপনিই জেমস বন্ড।
নেশা ধরানো ভিডিও গেমের আজব পৃথিবীর সন্ধান দিচ্ছেন কল্যাণ কর |
যুবভারতীতে কলকাতার শেষ ডার্বি ম্যাচে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। মাঠে হাজির এক লাখ দশ হাজার লোক। ভারতে এমনই জনপ্রিয় আউটডোর গেমস। এ বার ভাবুন অন্য একটা খেলার কথা। এটা ঘরেই খেলা হয়। এ খেলার যন্ত্র কিনতে দোকানের সামনে ৩৬ ঘণ্টা ক্যাম্প করে থাকেন গেম পাগলরা। এমনই জনপ্রিয়তা প্লে স্টেশন থ্রি, এক্স বক্স বা নিনটিনডো-র। বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদের ফ্যানেদের মতোই এখানেও বিভক্ত ভক্তকুল। বিশ্বাস করুন, ভিডিও গেম কনসোল সিআর সেভেন (ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো) বা এলএম টেন (লায়োনেল মেসি)-এর থেকেও বেশি জনপ্রিয়।
কনসোলের গোড়ার কথা
সেই ১৯৮৮ সালে, নিনটিনডো সোনির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে তাদের নতুন প্রোডাক্ট সুপার নিনটিনডোর জন্য সিডি-রম বানাতে। কিন্তু রেভিন্যুয়ের ভাগ নিয়ে মতপার্থক্যে ভেঙে যায় সেই চুক্তি।
নিনটিনডো এর পর চুক্তি করে ফিলিপসের সঙ্গে। আর সোনিকে অফার করে ‘নন-গেমিং’ ভূমিকা। সোনির হার্ডওয়্যার এক্সিকিউটিভ কেন কুটারাগি ভীষণ অপমানিত বোধ করেন এতে। তিনি সোনিকে বোঝান তারা নিজেরাই এমন একটা গেমিং প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন। তখন থেকেই যাত্রা শুরু ‘প্লে স্টেশন’ সিরিজের। অন্যদিকে এক্স বক্স ভাগ্য ফিরিয়ে দেয় মাইক্রোসফটের।
খেলার ছলে শরীরচর্চা
এই অংশটা ‘কাউচ পোটাটো’দের জন্য, যারা টিভি দেখে গেম খেলে কাটায় একটি বারের জন্যও ঘরের বাইরে বেরোয় না। এই তো আমাদের পাড়ার মোটা ভোম্বল। প্লে স্টেশন থ্রি তো ওর জীবনটাই বদলে দিল। এর পর যখনই কেউ ওকে কুঁড়ে বলে, ভোম্বল তখন ওর প্লে স্টেশনে তাদের ‘জুম্বা’ নাচ দেখিয়ে দেয় বা খেলে নেয় একটা টেনিস ম্যাচ। ডুয়েল শক থ্রি কন্ট্রোলার থাকলে মুভ কন্ট্রোলারও থাকবে। সেটা দিয়ে একদম বাস্তবের টেনিসের মতো খেলা টিভিতে। ব্যস এ বার বেডরুমেই ঘাম ঝরাতে পারবেন।
চলতে চলতে খেলা
বেশ কয়েক বছর হল শুরু হয়েছে ট্রেন্ডটা। নিনটেনডো থ্রিডিএস, প্লে-স্টেশন পোর্টেবল বা প্লে-স্টেশন ভিটার মতো হাতে ধরা ডিভাইসে পেয়ে যাবেন যেখানে খুশি খেলার স্বাধীনতা। এই যেমন ব্যস্ত আইটি এক্সিকিউটিভ মিস্টার চট্টোপাধ্যায় সব সময় সঙ্গে রাখেন পোর্টেবেল প্লে স্টেশন। দেশে বিদেশে ঘোরার ফাঁকে এয়ারপোর্টেই খেলে নেন একটু। সঙ্গে পেয়ে যান ‘টেক স্যাভি’র তকমা।
কিন্তু সাবধান
আমার পাশের বাড়ির রনি কয়েক দিন হল বেশ অদ্ভুত ব্যবহার করছে। বাস্তবের জগৎকে ভুলে পুরো কল্পনার জগতে আছে সে। কলেজ পড়ুয়া জয়জিতের গল্পও একই। এই স্ট্রেসে ভরা জীবনে ভিডিও গেম বাস্তবকে ভুলিয়ে এক কল্পনার জগৎ তৈরি করে। আস্তে আস্তে সবাই সেটাতে এত মগ্ন হয়ে যায় যে অন্য কোনও কিছুতেই আর আগ্রহ থাকে না। হয়ে পড়ে ভিডিও গেমে আসক্ত। গবেষণায় দেখা গিয়েছে বেশি গেম খেলা থেকেই আসক্তি তৈরি হয়।
তবে আর কীসের অপেক্ষা? এই টেকনোলজির যুগে এখনই নিয়ে আসুন একটা গেমিং কনসোল। এটা ‘বিনোদন-খেলা-স্বাস্থ্য-মজা-তথ্য’-এর জমাটি ম্যাজিক বক্স। ডার্বি ম্যাচ আসে-যায়, কিন্তু তার উত্তেজনায় কখনও ভাটা পড়ে না! তেমনই এই গেমিং কনসোল
দ্য শো মাস্ট গো অন!!!
|
কনসোল কথা |
দাম |
এক্স বক্স |
পিএস থ্রি |
নিনটেনডো উই |
১৫,০০০ টাকা |
৩৫,০০০ টাকা |
৩০,০০০ টাকা |
জনপ্রিয় খেলা |
হ্যালো থ্রি,
কল অফ ডিউটি |
ফল অফ ম্যান,
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ |
উই রিসটর্স,
মারিও পার্টি ৮ |
ব্লু-রে |
নেই |
আছে |
নেই |
র্যাম |
৫১২ এমবি |
২৫৬ এমবি |
২ জিবি |
স্টোরেজ |
৪ জিবি
২৫০ জিবি
৩২০ জিবি |
২ জিবি
২৫০ জিবি
৫০০ জিবি |
২ জিবি
২০০ জিবি
৩২০ জিবি |
মোশন কন্টোল |
কিনেক্ট |
প্লে স্টেশন মুভ |
উইমোট |
|
|
|
|
|
|