নাতি ডট কম
আনন্দ
সিনেমায় ঠিক যেমন হয়।
ফ্ল্যাশব্যাক থেকে জাম্প কাটে এগিয়ে আসে ‘সময়’।
ভোরের কুয়াশার চাদর সরিয়ে নরম শীত ও রোদের সহবাসে সবুজ ময়দান। তৈরি করে এক স্বপ্নিল পটভূমি।
এক যুগ থেকে আরেক যুগে চলে আসে ছবি। ফ্ল্যাশব্যাক থেকে যেন ফিরে আসা। সাদাকালো থেকে রঙিন। এই ছবিতে তো আরও বেশি! দুই প্রজন্ম পেরিয়ে আসা!
আর ওরা দু’জন। টগবগে দুই যুবকগৌরব এবং শন। টাটকা বাতাস। জেনারেশন Y প্রজন্ম।
পরনে ডেনিম, টি-শার্ট, জ্যাকেট। ক্যামেরার পর্দায় সবুজ চিরে বেরিয়ে এল দুই নাতি। ফটোশ্যুটের জন্য।
ওরা দু’জনেই বাংলা ছবি করতে চায়। ধরে রাখতে চায় ওদের পারিবারিক ধারাবাহিকতা। পরম্পরা।
সেই রিলে-রেসের ব্যাটন হাতে গৌরব তবু করেছে কয়েকটি বাংলা ছবি: ‘ভালবাসার অনেক নাম’, ‘ইতি’, ‘রং মিলন্তি’, ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’, সিরিয়াল ‘দুর্গা’, ‘ঘরে ফেরার গান’। কিন্তু শন এই দৌড়ে এক্কেবারে শুরুতে। শেরউড থেকে সবে ফিরেছে, হায়ার সেকেন্ডারি দেবে।
কথায় গল্পের ফাঁকে ছবি তুলে চলে আলোকচিত্রী তবে হলুদ-কালো-নীল যত রংই থাক ওদের পোশাকে, ওদের দেখলে বাঙালির মনের স্ক্রিনে ভেসে উঠবেই সাদা-কালো কথা। ময়দানের গাছের ডালের পাখিদের কলকাকলির মাঝে মনে পড়ে যাবেই উত্তম-সুপ্রিয়া... সুচিত্রা, সাবিত্রী, ...গান, আলো, অভিমানের নানা রাগ, অনুরাগ...
অথচ কেন যে মনে পড়ছে ওই গানটা‘মন খারাপ হলে কুয়াশা হয়/ ব্যাকুল হলে তিস্তা’... কে জানে! গানটা পাহাড়ের প্রেক্ষাপটে।
হয়তো পাহাড়ি এক স্বচ্ছ সরলতা ছড়িয়ে আছে ওদের দু’জনের শরীরী ভাষায়। সেই কারণেই কি পাহাড়ি ধুন গুন-গুন করছে মনের মাঝে?
ফটোশু্যটের আগে ওদের গল্পেও এসে পড়ল পাহাড়। ‘দার্জিলিং সেন্ট পলস’-এ পড়ত ওরা দু’জনেই। তবে খুব বেশি দিন নয়। তবু। শন যখন ক্লাস ওয়ানে, গৌরব তখন ভর্তি হয় ক্লাস নাইনে। শন পরে দার্জিলিং ছেড়ে কিছু দিন কলকাতায় থেকে চলে যায় নৈনিতালের শেরউডে।
শনের বড় দাদা, সুপ্রিয়া দেবীর আরেক নাতি নীল বরং গৌরবের কাছাকাছি বয়সি। পড়তও দার্জিলিং ‘সেন্ট পলসে’। তাই দেখা হতেই গৌরব শনের কাছে জানতে চাইল, “নীল কেমন আছে?”
প্রসঙ্গ উঠল, কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা নিয়েও। কী ভাবে গৌরবের বাবা গৌতম, ছেলের সঙ্গে স্কুলের বোর্ডিং-এ দেখা করতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত হতেন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে, ভাঙিয়ে দিতেন গৌরবের ঘুম। আর গৌরব ঘুম চোখে বিছানায় পাশ ফিরে বলত, “ওহ্ বাবা আমি রোজ উঠতে-বসতে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখি...ঘুম ভাঙিয়ে দিও না।”
আড্ডায় গল্পে এ ভাবেই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সাক্ষী রেখে গৌরব-শন মেতে গেল নতুন-পুরনো আলোচনায়।

*******
ওদের দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, কত যুগ হবে তিনি নেই? কত বছর? কত বছর? অথচ সব প্রজন্ম চিরে চিরে যেন বেরিয়ে আসছে ‘উত্তম’ আলো? অস্তিত্ব? প্রশ্ন শুনে গৌরব, শন হালকা হাসল দু’জন দু’জনের দিকে তাকিয়ে। পেলব, মিঠে রোদের মতো সে হাসি। ছড়িয়ে পড়ল ময়দানে। তার পর বলল, “কোথায় তোলা হবে আমাদের শট?” “ওই সবুজের সামনে। ব্যাকগ্রাউন্ডে রেড রোড...ঘোড়া... থাক না ফ্রেমে।” বললেন আলোকচিত্রী।
গৌরবের কাছে প্রশ্ন: দাদুর ছবি দ্যাখো নিশ্চয়ই? গৌরব: ছোটবেলায় অত দেখতাম না। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে তত বেশি দেখছি।
প্রিয় তিনটে ছবির নাম বলতে বললে কোনগুলোকে রাখবে?
ময়দানের দূরে চোখটা ভাসিয়ে গৌরব বলল, “‘নায়ক’, ‘অগ্নীশ্বর’, ‘হারানো সুর’।” আর শন তুমি, দিদিমার ছবি... শন একটু চিন্তিত। বলল, “‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘সিস্টার’... আর দাদুর ছবিও দেখেছি। ওই যে ছবিটায়... স্কুটারের সামনে ভূত...”
—‘বিকেলে ভোরের ফুল’? “হ্যাঁ-হ্যাঁ। ওটাতে অবশ্য আম্মা নেই।” গৌরবও জানাল সুপ্রিয়া দেবীর ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘সন্ন্যাসী রাজা’, ‘শুধু একটি বছর’ তার প্রিয় ছবির অন্যতম।
আচ্ছা উত্তমের কোন চরিত্রটা করতে পারলে তোমাদের ভাল লাগত? এই প্রশ্নে দু’জনেই এক মত, ‘নায়ক’। গৌরব অবশ্য যোগ করল, “‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’ আর ‘সন্ন্যাসী রাজা”। শন বলল, “হ্যাঁ, ওটাতে দাদুকে জেসাস ক্রাইস্টের মতো দেখাচ্ছিল। দারুণ!”

*******
দাদুর কথা থেকে ‘ছবি’ যেন আছড়ে পড়ল আজকের দিনে। আবার ফ্ল্যাশব্যাক থেকে ফিরে আসা জানতে চাইলাম, তা সেন্ট পলস, শেরউডে পড়াশোনা করেও বাংলা ছবি করতে চাইছ কেন?
শন শব্দটা বিদেশি। শন কনারি হার্টথ্রব ছিলেন শনের মা, সুপ্রিয়া-তনয়া সোমার। সেই জন্যই ছোট ছেলের এই নাম রাখা। প্রশ্ন শুনে শন বলল, “আমি সিনেমা বাফ। আর কলকাতায় অনেকেই খুব এনকারেজ করছে...যদিও আমি ছবি আঁকতে ভালবাসি... হায়ার সেকেন্ডারির পর, দিল্লি থেকে আর্ট নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন করতে চাই।”
কলকাতা থেকে নয় কেন? “এখানে আর্টের ওপর রেসপেক্ট খুব বেশি, আর কম্পিটিশনও খুব, আমি নিরিবিলিতে করতে চাই।”
আর বাংলা ছবি?
“ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ওরা তিন মাস বাদে আসতে বলেছে...দেখি, তিন মাসে একটু বডি-টডি বানিয়ে নিই।”
জিমে যাও? খেলাধুলো করো?
“স্যাটারডে ক্লাবে যাই। স্কুলে বক্সিং আর সুইমিং দুটোই খুব ভাল করতাম। সুইমিং-এ চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। এখনও সময় পেলেই ক্লাবে চলে যাই।”
আর গৌরব? তোমার শরীরচর্চা?
ছিপছিপে গৌরব জানাল খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে খুব সাবধানী সে। ছোটবেলায় শরীর ভারী ছিল বলে বন্ধুরা মজা করে বলত, ‘দাদুর নাতি না দাদুর হাতি’। সেই থেকে চেহারা সচেতন। বলল, “রেবা পুরীর বালিগঞ্জের জিমে নিয়মিত যাই। শু্যটিং থাকলে অবশ্য পারি না। তবে বাড়ির এক তলায়, ঠাকুরদালানের পিছনে, একটা ফাঁকা জায়গা আছে, ওখানে ছোটখাটো একটা জিম বানাচ্ছি। কয়েকটা মেশিনও কিনে ফেলেছি।” বিয়ের পর তা হলে অনিন্দিতা আর তুমি দু’জনে বাড়িতেই ব্যায়াম করবে, তাই তো?
“হ্যাঁ।”
তার মানে উত্তমকুমারের গিরীশ মুখার্জি রোডের ঠাকুরদালানের পিছনে এ বার হচ্ছে জিম?
হাসল গৌরব। এই হাসির মধ্যে কোথাও কি ভুবনভোলানো সেই ছোঁয়া...নাকি বাঙালির মনের আলোর প্রতিচ্ছবি গৌরবের মুখে? কে জানে?
আচ্ছা, তোমার স্কুলিং সম্পর্কে কিছু বলবে?
“প্রথমে ‘সাউথ পয়েন্ট’, তার পর দার্জিলিং ‘সেন্ট পলস’, তার পর ‘লামার্টস’। পরে ‘ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি’ থেকে কমার্স গ্র্যাজুয়েট।
নিয়মিত কলেজ করতে?
সানগ্লাস খুলে হাসতে হাসতে গৌরব বলল, “মনে পড়ে না কলেজ করেছি বলে। বন্ধুরা প্রক্সি দিয়ে দিত। আমি শুধু পরীক্ষার দিন যেতাম। ন্যাচারালি অ্যাকাউন্টেন্সি অনার্সটা কেটে গিয়েছিল। চাপ নিইনি।”
তোমার তো আশীর্বাদ, রেজিস্ট্রি হয়ে গেল। এ বার বিয়ের অনুষ্ঠান? “পুরো নিয়ম মেনে।” (হাসি)
শন তুমি গৌরবের বিয়েতে আসছ? মা-দিদিমা আসবেন?
“হ্যাঁ আসব। ওঁরাও নিশ্চয়ই আসবেন।”

*******
কথায় কথা এগিয়ে চলে। গৌরব, শন পাল্টে ফেলে তাদের কথার প্রসঙ্গ। পাল্টায় টি-শার্ট।
বাংলা ছবিতে আসবে ভাবছে। শনের কাছে তাই জানতে চাই, তুমি বাংলা ছবি দেখেছ কোনও? বাংলা ভাষা পড়তে পারো? এখনকার কোনও বাঙালি নায়িকাকে চেনো?
ফিনফিনে পাতলা ঠোঁট দুটো আলতো করে কামড়ে বলল, “দেব, জিৎ-কে চিনি। হিরোইনদের চিনি না। শুধু রাইমাকে চিনি, কারণ ও দিদির (সুপ্রিয়াদেবীর বড় নাতনি তুলির) বন্ধু। আর বাংলা আমি পড়তে পারি না।”
গৌরব কোনও টিপস দেবে শনকে? কয়েক বছরের বড় গৌরব। বলল, “ওর বয়েস কম। সব জেনে যাবে আস্তে আস্তে, কোনও চাপ নেই।”

*******
আলোকচিত্রী তাঁর নিজের কাজে ব্যস্ত। কখনও ময়দানের ফোয়ারার সামনে, কখনও পায়রা নিয়ে এঁকে চলেছে ফ্রেম। আর সকালের আলোয়, রিল্যাক্সড গৌরব-শন আবদার মিটিয়ে চলেছে তাঁর।
এমন দৃশ্য দেখলে বাঙালির হৃদয় কি আবারও ফ্ল্যাশব্যাকে হাঁটবে না? মনে পড়বে না স্বর্ণযুগের কথা ও কাহিনি? যদিও চলে গেছে সময় যোজন যোজন দূর। স্মৃতির গায়ে পড়েছে চিরন্তন চাদর। তবুও উত্তম-স্মৃতি অমলিন। আজও। বাঙালি মননে।
প্রশ্ন না করলে অবশ্য ওদের আড্ডায় একেবারের জন্যেও আসেনি দাদু প্রসঙ্গ। বরং সুপারম্যানের ক্যারেক্টার নিয়ে গৌরব-শন অনেক বেশি আগ্রহী। আগ্রহী আধুনিক হলিউড ফিল্ম নিয়ে। আগ্রহী তাদের গার্লফ্রেন্ড ও বউয়ের চাহিদা নিয়ে, উৎসাহী শরীর তৈরি সংক্রান্ত কথাবার্তা নিয়ে।
জানতে চাইলে খুব আলগোছে বরং তারা ছুঁয়ে যাচ্ছেন দাদু-দিদিমার প্রসঙ্গ।
তুলনায় হিন্দি ছবি, শাহরুখ-আমির পেরিয়ে শাহিদ-রণবীর প্রজন্ম কিংবা ধোনি পেরিয়ে গৌতম গম্ভীরের অধিনায়কত্ব নিয়ে অনেক বেশি উৎসাহী। এবং সব শেষে অবশ্যই সিনেমা। এন্টারটেনমেন্ট। মন দিয়ে বাংলা ছবি করতে চায় ওরা। ধরে রাখতে চায় পারিবারিক ধারবাহিকতা। ‘ফিল্ম’ নামক কমন উপাদানটি তাই ফল্গু নদীর মতোই বহমান।

আমরা
শন বন্দ্যোপাধ্যায় গৌরব চট্টোপাধ্যায়
• গার্লফ্রেন্ড আছে
• প্রিয় নায়ক: রণবীর কপূর,
হিউ জ্যাকম্যান, উত্তমকুমার
• প্রিয় নায়িকা: অনুষ্কা শর্মা,
জেনিফার অ্যানিস্টন, রাইমা
• পছন্দ : সুপারহিরোর চরিত্র
• পছন্দ করি: সাঁতার কাটতে
• অবসর কাটাই: সিনেমা দেখে, ছবি এঁকে
• খেতে ভালবাসি: সফ্ট ড্রিঙ্ক।
• করতে চাই: বাংলা ছবি।
তবে চরিত্রটা ভাল হতে হবে
• বিবাহিত (সদ্য রেজিস্ট্রি হয়েছে)
• প্রিয় নায়ক: নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি,
শন পেন, উত্তমকুমার
• প্রিয় নায়িকা: করিনা কপূর,
চার্লস থেরন, সুচিত্রা সেন
• পছন্দ : সুপারহিরোর চরিত্র
• পছন্দ করি: সাঁতার কাটতে
• অবসর কাটাই: সিনেমা দেখে, ঘুমিয়ে,
কম্পিউটর গেমস খেলে
• খেতে ভালবাসি: ফিশ ফ্রাই
• করতে চাই: বাংলা ছবি।
তবে চরিত্রটা ভাল হতে হবে

সুপ্রিয়া-উত্তমের ছায়া থেকে তাই আজ অনেক যোজন দূরে থাকলেও গৌরব-শন জানে, ওই দুই নামের ম্যাজিক-মাহাত্ম্য। জানে ওদের নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে যাঁরা, নস্ট্যালজিয়ার উষ্ণতায় থরো থরো বাঙালি আজও অনুভব করে তাঁদের সম্পর্কের আঁচ। ওম্।
কিন্তু উত্তম-সুপ্রিয়ার সেই চিরন্তন প্রেম, সেই লিভ-ইন রিলেশন? কী চোখে আজ দেখে গৌরব-শন? আজকের দিনের ওপন রিলেশনের সঙ্গে কোনও মিল খুঁজে পায় তারা?
জানতে চাওয়ায় আবারও মিষ্টি করে হাসে দুই ঝকঝকে যুবক।
তার পর খুব আস্তে করে শন বলে, “শুনেছি দাদুর সঙ্গে আগে ভালই বন্ডিং ছিল আম্মার...তার পরে কিছু একটা হয়েছিল...(হেসে)।”
নিষ্পাপ তারুণ্যকে ছুঁতে মন জাগে না, কথা না বাড়িয়ে তাই গৌরবের কাছে জানতে চাইলাম, ‘তোমার দাদুকে অন্য কেউ দাদু বললে খারাপ লাগে না?’
উত্তরে খানিক উদাসীন গৌরব। বলল, “সে কী! দাদুর বয়সি লোকদের তো দাদুই বলতে হয়! পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করতে হয়। বিজয়ায় কোলাকুলি করতে হয়...আমার দুর্ভাগ্য সেটা আমি দাদুর সঙ্গে করতে পারলাম না। আর যাঁর নাম উত্তমকুমার, তাঁকে তো সবাই ভালবাসবেই।”
অমলিন এমন উত্তরের সামনে পুরনো দিনের কথার কেবল সুরটুকুই যেন রেশ হয়ে থেকে যায়। কাটিয়ে দিতে মন চায় না
তার ছন্দ-তাল-সুর।
বরং দু’জনকে দেখে সিনেমার মতোই বার বার মন চলে যায় ফ্ল্যাশব্যাকে। উত্তম-সুপ্রিয়ার সেই সব ছবি, ‘সন্ন্যাসী রাজা’, ‘লাল পাথর’, ‘বনপলাশির পদাবলী’, ‘চিরদিনের’...ভোরের ছবি হলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে ভেসে আসে সেই গান...
‘স্বপ্ন জাগানো রাত মাধুরী ছড়ায়...’

ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.