|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
‘সবার আমি ছাত্র’ |
বইপোকা |
বিবিধ বিরহে উন্মত্তবৎ হইয়া বেহারিলাল সারদামঙ্গল রচনা করিয়াছিলেন। সে কাব্য কালের ধোপে টিঁকে নাই। তবু বাংলা গীতিকবিতার ইতিহাসে তাহার বিশেষ মূল্য আছে। কিন্তু অমৃতা শেরগিলের শিল্প ও জীবনচর্চা নিভাঁজ গদ্যে লিখিতে গেলেও যে অসুস্থ হইয়া পড়িতে হয় তাহার এক আজব দৃষ্টান্ত স্থাপিত হইল এই বার। শান্তি নাথের অমৃতা শেরগিল: শিল্প ও জীবনচর্চা-র (প্রতিভাস, ৬০০.০০) লেখকের ‘আত্মপক্ষ’ বলিতেছে, ‘লেখার সময় মাঝে মাঝে এত উত্তেজিত হয়ে পড়তাম তার জীবনশৈলী অনুভব করতে গিয়ে যে অসুস্থ হয়ে পড়ি, ছ-মাস শুয়ে থাকতে হয়। এতে ভালোই হয়েছিল তাকে আমার ঘরের মধ্যে হাঁটাচলা করতে দেখতাম, অবশ্য স্বপ্নে, স্বপ্নে কথা হত সেটা একটা অচেনা ইতিহাস আমার কাছে।’ কিন্তু তাহাতে কিছু মন্দও হয়। ঘোরের মধ্যে কবিতা রচনা করা সম্ভব কিন্তু শিল্পের বিচার উন্মত্তবৎ হইয়া করিলে তাহা অবিচারই হয়। তাই আক্ষেপ হয়, চিত্রমুদ্রণের মানে এমন উন্নত একটি গ্রন্থের পাঠ যথোচিত সম্পাদনা হইল না কেন? অবশ্য সার্ত্র হইতে বুদ্ধ সকলের ছাত্র ‘চাষি’ লেখকের ব্লার্ব-পরিচিতিটি পড়িলে বুঝিতে পারি, এই গ্রন্থ সম্পাদনা করিবার বুকের পাটা কেন হয় নাই কোনও সম্পাদকের। কিঞ্চিৎ উদ্ধার করি: ‘নিজেকে লেখক চাষি বলতে বেশি পছন্দ করেন। শিক্ষক রূপে পেয়েছেন, মারকিউ দ্য সাদ যিনি শিক্ষা দিয়েছেন, আত্মপীড়নের মধ্যে বিশ্বের শাসক শ্রেণির অত্যাচারকে অনুভব করতে। নিৎসে শিখিয়েছেন, দ্বৈত তত্ত্ব...বুদ্ধ তাকে শিখিয়েছেন নাস্তিক হতে,...আর রবীন্দ্রনাথ ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবোধ গঠনের জন্যে শিক্ষিত করতে চেয়েছেন।’ ছেলেবেলায় পাঠ্যবইয়ে পড়া সুনির্মল বসুর একটি কবিতা আজ বড় মনে পড়িতেছে, সেই যে, আকাশ আমায় শিক্ষা দিল... |
|
|
|
|
|