টুকরো খবর
ছেলেকে ‘অপহরণ’, অভিযুক্ত মা-সহ ধৃত তিন
ছেলেকে অপহরণ করার অভিযোগে মা-সহ তিনজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার হঠাৎগঞ্জ বাজারে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ বছর আগে হাওড়ার ডোমজুড়ের সুভাষপল্লির বাসিন্দা শঙ্কর থাপার সঙ্গে বিয়ে হয় রূপা থাপার। তাঁদের ছেলে সুরজিৎ বর্তমানে হাওড়ার ডোমজুড়ের একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় কয়েক বছর আগে শ্রীমন গোলদার নামে একজনকে বিয়ে করে দিল্লি চলে যান রূপাদেবী। সুরজিত বাবার কাছেই ছিল। অভিযোগ, গত ১২ ডিসেম্বর, বুধবার সুরজিৎ স্কুলে যাওয়ার সময় রূপাদেবী ও তাঁর দ্বিতীয় স্বামী তাকে অপহরণ করে। এর পর তাকে লুকিয়ে রাখার জন্য স্বরূপনগরের গুনরাজপুরে রানা মধু নামে তাদের এক আত্নীয়ের বাড়ি রওনা হয়। মসলন্দপুর স্টেশনে রূপা ও শ্রীমনের সঙ্গে রানা দেখা করে। তারা একটি অটোয় ওঠে। হঠাৎগঞ্জ বাজারের সামনে এলে কান্নাকাটি শুরু করে সুরজিত। লোকজনের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা জিঞ্জাসাবাদ করেন। তখন সুরজিত জানায় তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উত্তেজিত জনতা রূপাদেবী-সহ তিনজনকে মারধর শুরু করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। শঙ্করবাবুকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরে আটক তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। সুরজিতকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বসিরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন।

প্রেমিকাকে খুন, ধৃত প্রেমিক
প্রেমিকাকে কামড়ে, শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ বছর ১১ জানুয়ারি স্থানীয় ঘাটপাতিলা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে কৃষ্ণা বিশ্বাস (৩৭) নামে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় বাগদা থানায় চিত্তরঞ্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার ভাই সঞ্জয় দলুই। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল চিত্তরঞ্জন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয় চক-বেয়ারা গ্রাম থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, চিত্তরঞ্জন বিবাহিত। কৃষ্ণাদেবী বিধবা। তাঁর একটি সন্তান রয়েছে। দু’জনের মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ১০ জানুয়ারি রাতে কৃষ্ণাদেবীর বাড়িতে ছিল চিত্তরঞ্জন। তার সন্দেহ হয় যে কৃষ্ণাদেবীর সঙ্গে অন্য কারও সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এ নিয়ে দু’জনের বচসার মধ্যেই কৃষ্ণাদেবীকে খুন করে তালা দিয়ে চলে যায় চিত্তরঞ্জন। পুলিশের দাবি, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে চিত্তরঞ্জন।

মৎসজীবী-বনকর্মী হাতাহাতি, জখম ১৩
মৎস্যজীবীদের সঙ্গে বনকর্মীদের হাতাহাতিতে জখম হলেন ১৩ জন। আহতেরা জামতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে এক বনকর্মীকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে কুলতলি বিট অফিসে ঘটনাটি ঘটে। বন দফতর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে কুলতলির একদল মৎস্যজীবী হেড়োভাঙা ৯ নম্বর কম্পার্টমেন্টে মাতলা নদীর চরে মাছ ধরার জন্য জাল পেতে রেখেছিল। প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জাল পাতা ছিল। বনকর্মীরা বিষয়টি জানতে পেরে রাতেই ৬টি নৌকা এবং জাল তুলে নিয়ে যান। বন দফতরের দাবি, ওই চরে ম্যানগ্রোভ চারা লাগানো হয়েছিল। জাল পাতায় বহু চারা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পরদিন সকালে মহিলা-পুরুষ মিলিয়ে অন্তত ৪০ জন মৎস্যজীবী জাল ও নৌকা নিতে বন দফতরের অফিসে গিয়েছিলেন। মৎস্যজীবীদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে জানালে তাঁরা দিতে অস্বীকার করায় দু’পক্ষে বচসা বাধে। পরে হাতাহাতি হয়।

বধূহত্যার নালিশ, গ্রেফতার স্বামী
স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গোসাবার ছোট মোল্লাখালির আমতলি এলাকায় শুক্রবার সকালে বাড়ির কাছে ধানখেতে শম্পা হাউলি (১৮) নামে ওই বধূর দেহ উদ্ধার হয়। তিনি বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, শম্পার সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ক ছিল। সেই কারণেই সে তাঁকে মেরে ফেলেছে।

নোনা জলে নষ্ট ফসল
রাত জেগে পাহারা গিয়েও শেষ রক্ষা হল না। নদীবাঁধের গর্ত দিয়ে নোনা জল ঢুকে ভাসিয়ে দিল প্রায় তিনশো বিঘা জমির ধান ও মাছ। বৃহস্পতিবার রাতে হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি পঞ্চায়েতের তিন নম্বর সাহেবখালি গ্রামের ঘটনা। হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “দ্রুত বাঁধ মেরামতির জন্য সেচ দফতর এবং পঞ্চায়েত প্রধানকে বলা হয়েছে।”

ভস্মীভূত ট্রাক
আগুনে ভস্মীভূত হল পেট্রাপোলে সেন্ট্রাল ওয়্যারহাউজ কর্পোরেশনের ট্রাক টার্মিনাসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাত দু’টোয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ট্রাক টার্মিনাসে আগুন নেভানোর পরিকাঠামো নেই।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.