|
|
|
|
|
|
|
নানা রকম... |
|
নতুন চিন্তাধারায়
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
আইসিসিআর-এ ডোনার শাপমোচন |
সম্প্রতি ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় ও ‘দীক্ষা মঞ্জরী’র কুশীলবরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শাপমোচন’ উপস্থাপনা করলেন আইসিসিআর-এ। ‘শাপমোচন’ কথার অর্থ অভিশাপ থেকে মুক্ত ইন্দ্রের রাজসভায় সৌরসেনের মৃদঙ্গের তালে উর্বশী নাচছিলেন। সৌরসেন তাঁর প্রেয়সী মধুশ্রীর বিরহে মৃদঙ্গের তাল ভঙ্গ করেন। সুরসভার অভিশাপে সৌরসেন মর্তলোকে বিকৃতরূপে গান্ধার রাজগৃহে অরুণেশ্বর নামে জন্মগ্রহণ করেন। আর মধুশ্রী জন্মালেন মদ্ররাজকুলে কমলিকা নামে। দুই জনের মর্তে আগমন, পুনর্মিলন ও অরুণেশ্বরের শাপমুক্তি এই নিয়েই রবীন্দ্রগীতিনাট্য ‘শাপমোচন’। গীতিনাট্যটির মূল ভাব বজায় রেখে সম্পূর্ণ নতুন রূপে আধুনিকতার ছোঁওয়ায় এটি পরিবেশিত হয়। প্রতিটি কলাকুশলী তাঁদের চরিত্র রূপায়ণে দক্ষতা ও কঠোর অধ্যবসায়ের পরিচয় দেন। শিল্পীদের বর্ণময় আকর্ষণীয় পোশাক মঞ্চ আলোকিত করে তোলে। পোশাক বৈচিত্র স্বর্গ ও রাজকুলের আভিজাত্য বজায় রাখে। চরিত্রায়ণে দ্রুত পোশাক পরিবর্তন প্রশংসাযোগ্য। অরুণেশ্বর ও কমলিকার পারস্পরিক রসায়ন এবং সেই সঙ্গে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের হৃদয়স্পর্শী ভাষ্যপাঠের মিলনে এক সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ছোট্ট কমলিকার চরিত্রে সানার নিপুণ নৃত্যশৈলী সুপ্ত প্রতিভার চিহ্ন রাখে। ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় এই গীতিনাট্যটি নতুন চিন্তাধারার মাধ্যমে যে ভাবে পরিবেশন করেছেন তা প্রশংসনীয়। আয়োজক-আইসিসিআর।
|
যদি ভুলে যাও |
ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের ৯১তম জন্মবার্ষিকী পালিত হল শিশির মঞ্চে। উপস্থিত ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, নির্মলা মিশ্র, বনশ্রী সেনগুপ্ত প্রমুখ। অনুষ্ঠানে যূথিকা রায়কে ‘ধনঞ্জয় স্মারক অর্ঘ্য’ প্রদান করে সম্মানিত করেন নির্মলা মিশ্র ও দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। ধনঞ্জয়বাবুর গাওয়া গানগুলি গেয়ে অনেকেই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, দেবমাল্য চট্টোপাধ্যায়ের ‘যদি ভুলে যাও মোরে’, কল্যাণ দাসের ‘ও দিলওয়ালে’ এবং অজন্তা সিংহের একটি রবীন্দ্রসঙ্গীত। পরে শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বাসরের দীপ আর’ এবং মনোময় ভট্টাচার্যের ‘মাটিতে জন্ম নিলাম’ গান দু’টি শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায়। |
|
|
|
|
|