|
|
|
|
মেচেদা বাসস্ট্যান্ডের চাতাল পাকা করতে বরাদ্দ ২৫ লক্ষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে মেচেদা বাসস্ট্যান্ড সংস্কারে টাকা বরাদ্দ হল। বাসস্ট্যান্ড পরিচালন সমিতির তহবিলের টাকাতেই চাতালটি কংক্রিটের করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খরচ হবে ২৫ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার উন্নয়নের জন্য কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রায় ৪ কোটি টাকা দিচ্ছে। বাসস্ট্যান্ড সংযোগকারী রাস্তাটি কংক্রিটের করা ছাড়াও ওই টাকায় বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
হাওড়া-খড়্গপুর রেলপথে মেচেদা স্টেশন সংলগ্ন কেন্দ্রীয় এই বাসস্ট্যান্ডের সঙ্গে ৬ ও ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ছাড়াও একাধিক রাজ্য সড়ক যুক্ত। পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই বাসস্ট্যান্ডের পরিচালন ক্ষমতা রয়েছে জেলা প্রশাসনের হাতে। বাসস্ট্যান্ড পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান তমলুকের মহকুমাশাসক। বাসস্ট্যান্ডে যাতায়াত করে এমন বাস, ট্রেকার, গাড়ি থেকে নির্দিষ্ট হারে টাকা আদায় করে পরিচালন সমিতি। কিন্তু বাসস্ট্যান্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কোনও উদ্যোগ নেই। বেহাল নিকাশির কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে। জঞ্জাল জমে দুর্গন্ধে যাত্রীদের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়। এই নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। বছরখানেক আগে বাসস্ট্যান্ডের উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতি মহকুমা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব রাখে। কাজ হয়নি কিছুই। |
|
বেহাল মেচেদা বাসস্ট্যান্ড। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মেচেদা কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের উন্নয়নের জন্য তমলুকে মহকুমাশাসকের অফিসে বাসস্ট্যান্ডের পরিচালন সমিতির বৈঠক হয়। বৈঠকে বাসস্ট্যান্ড উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার পরে চাতাল পাকা করার কাজে ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়াও নতুন করে নিকাশি ব্যবস্থা, যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি-সহ সামগ্রিক ভাবে আধুনিকীকরণের জন্য বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট বানাতে একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থা নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেচেদা বাসস্ট্যান্ড পরিচালন সমিতির সদস্য তথা শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিভাস কর জানান, বাসস্ট্যান্ডের চাতাল পাকা করার কাজে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়া বাসস্ট্যান্ডের নিকাশিনালা পরিষ্কারের জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বাসস্ট্যান্ডের সঙ্গে জাতীয় সড়কের সংযোগকারী প্রায় আধ কিলোমিটার রাস্তা চওড়া করে কংক্রিটের করা হবে। এর জন্য প্রায় দু’কোটি টাকা খরচ হবে। বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি শিশুউদ্যান তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর জন্য প্রায় ৬৭ লক্ষ টাকা খরচ হবে। এলাকার জঞ্জাল সাফাইয়ের পরিকল্পনাও রয়েছে। এই সব উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতিকে প্রায় ৪ কোটি টাকা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিভাসবাবু। |
|
|
|
|
|