|
|
|
|
|
|
উত্তর কলকাতা |
অর্থাভাব |
বিপন্ন মাঠ |
কৌশিক ঘোষ |
স্টেডিয়াম দূর অস্ৎ। অর্থের অভাবে আটকে রয়েছে মাঠ ঘেরার কাজই। ফলে, মাঠ জবরদখল হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন ক্রীড়াপ্রমী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এই অবস্থা উত্তর কলকাতার টালা জিমখানা মাঠের। পাঁচিল দেওয়ার অর্থ জোগাড়ের জন্য রাজ্য সরকার ও স্থানীয় সাংসদের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। যদিও স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা বাতিল হয়েছে।
পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “এই মাঠ ঘিরতেই প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দরকার। |
|
পুরসভার পক্ষে তা দেওয়া সম্ভব নয়। কাজেই রাজ্য সরকার বা স্থানীয় সাংসদ তহবিল থেকে অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
সমস্যা কোথায়?
২০ বিঘা জমির উপরে রয়েছে টালা জিমখানা মাঠ। বহু দিন নানা খেলা হয়। অভিযোগ, কয়েক বছর আগে কিছু বহিরাগত মাঠের এক পাশে ঝুপড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। কয়েক বছর আগে কিছু ঝুপড়ি সরানো হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই ফের জবরদখল হয়ে যায়। অভিযোগ, এঁরা পরিবেশও দূষিত করছেন। মাঠের পরিসর ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। খেলতে অসুবিধা হচ্ছে। এই মাঠের পাশের একটি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত সাহা বলেন, “এখানে বহু দিন যাবৎ ফুটবল, ক্রিকেট খেলা হত। |
|
হকিও খেলা হয়েছে। শীতের সময়ে ক্রিকেট এ মাঠে একটি বিশেষ আকর্ষণ। কিন্তু মাঠ জবরদখল হয়ে যাওয়ায় খেলার জায়গা ক্রমশ কমে যাচ্ছে।”
এখানে মোট চারটি স্পোর্টস ক্লাব আছে। ক্লাবের প্রতিনিধিরা মিলে মাঠটির উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ‘টালাপার্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটি’ তৈরি করেছেন। এই কমিটির চেয়ারম্যান, স্থানীয় কাউন্সিলর তথা কলকাতা পুরসভার ১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা বলেন, “মাঠটির উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জবরদখলকারীদের সরিয়ে দেওয়া দরকার। তিন-চার বার অভিযান চালানো হয়েছিল। কিছু দিন পরে যে-কে-সেই। এত বড় মাঠে নিরাপত্তারক্ষী রাখা সম্ভব নয়। মাঠের পাঁচিল প্রায় ভেঙে পড়ছে। পাঁচিল দিয়ে মাঠ না ঘিরলে এ সমস্যার সমাধান হবে না। পুর-কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” এই মাঠের লাগোয়া একটি জায়গা থেকে জবরদখলকারীদের সরিয়ে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে বলেও তরুণবাবু জানান।
গত বামফ্রন্টের আমলে সরকার থেকে এই মাঠেই একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। এই প্রসঙ্গে দেবাশিসবাবু বলেন, “স্টেডিয়াম নির্মাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পুরসভার নেই। তা ছাড়া এখানে স্টেডিয়াম তৈরি হলে খেলার জায়গা অনেক কমে যাবে। খেলা যাতে ঠিকমতো চলে সে বিষয়ে নজর রাখা হবে।” |
—নিজস্ব চিত্র |
|
|
|
|
|